শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলায় আম বাগানের গাছে-গাছে মুকুলে ভরে গেছে। ইতিমধ্যে আমের গুটি বাঁধতে শুরু করেছে। নানা ফল চাষে ক্রমেই এঅঞ্চলে কৃষকদের আগ্রহ বাড়ছে।
জানাগেছে, উপজেলার ১২টি ইউনিয়নে বিভিন্ন জাতের আম চাষ হচ্ছে। এঅঞ্চলে আম্রপালী, রুপালী, ফজলী, লেংরা, হিমসাগর সহ অন্যান্য জাতের আমের চাষ হয়েছে। এখানের আমও বেশ মিষ্টি। উপজেলার আমচাষীরা দেশের প্রধান-প্রধান আম উৎপাদন অঞ্চল থেকে চারা সংগ্রহ করে থাকে। তাতে ভাল ফল মিলছে বলে জানিয়েছেন চাষিরা। আম গাছে মুকুল আসার আগেই একবার ওষুধ স্প্রে করতে হয়। মুকল বের হওয়ার সময় ছত্রাক নাশক ওষুধ স্প্রে করতে হয়। এরপর আমের গুটি বাঁধলে এক বার, আম যখন বড় হবে তখনও ছত্রাক নাশক ওষুধ স্প্রে করতে হয়।
মৌমাছিও মধু সংগ্রহ করতে আমের মুকুলে গুন-গুন করছে। বানিজ্যিক ও ব্যাক্তিগত ভাবে আম চাষ করেছেন কৃষকরা। আমের মুকুলের সৌরভে বাগানে মৌ-মৌ গন্ধ বাতাসে ছড়াচ্ছে। নালিতাবাড়ীর আমের বাগান দেশে বিস্তৃতি লাভ করেছে বলে জানিয়েছেন কৃষি বিভাগ। তারা আরো জানান, দেশে ফলের উৎপাদন বাড়লে মানুষ বিদেশি ফল থেকে মুখ ফিরিয়ে নেবে। এ উপজেলায় আমের বাগান ছাড়াও মিশ্র ফলের বাগানে আম চাষ হচ্ছে।
উপজেলার হাতি পাগাড় গ্রামের আমবাগান মালিক আল আমিন বলেন, বর্তমানে নালিতাবাড়ীতে বিভিন্ন জাতের আম বাগান রয়েছে। মাটি ও আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় গাছে-গাছে আমের গুটি দেখা যাচ্ছে। এখন সার-বিষ প্রয়োগ সহ পরিচর্যা চলছে। ভালো ফলনের আশা করছি।
এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ আব্দুল ওয়াদুদ জানান, অত্র উপজেলায় আগের চেয়ে নানা জাতের সুমিষ্ট আম চাষ বৃদ্ধি পেয়েছে। আমরা সব চাষীদের সহযোগিতা ও পরামর্শ দিচ্ছি।