খুলনার দাকোপে চালনা কলেজের এক প্রভাষকের বিরুদ্ধে অবৈধ ভাবে বেতন ভাতা উত্তোলনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। তিনি চাকুরিতে এক পদে যোগদান করে দীর্ঘদিন যাবৎ অন্য পদের বেতন ভাতা উত্তোলন করে আসছেন। ফলে অত্র শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ওই পদ শূণ্য থাকায় ছাত্র ছাত্রীদের লেখাপড়ায় চরম বিপাকে পড়তে হচ্ছে।
সূত্রে জানা গেছে, ২০০০ সালের ১ এপ্রিল নীল কোমল সাহা চালনা কলেজে সাচিবিক বিদ্যার প্রভাষক হিসাবে যোগদান করেন। কিন্তু তিনি যোগদানের পর থেকে ব্যবসায় গণিত ও পরিসংখ্যান প্রভাষকের বেতন ভাতা উত্তোলন করে আসছেন। ফলে অত্র শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে দীর্ঘদিন যাবৎ বি.এম শাখার ব্যবসায় গণিত ও পরিসংখ্যান প্রভাষকের পদ শূণ্য রয়েছে। এতে কলেজের ছাত্র ছাত্রীদের লেখাপড়ায় ব্যাপক সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে। এমনকি অভিভাবকদেরও বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে। এছাড়া প্রতি বছর কলেজে গণিত পরীক্ষায় বেশি সংখ্যক ছাত্র ছাত্রী পাশ করতে পারেনা বলে জানা গেছে।
অভিভাবক গোবিন্দ বিশ্বাস জানান, চালনা কলেজে দীর্ঘদিন যাবৎ অংকের শিক্ষক না থাকায় ছাত্র ছাত্রীদের লেখাপড়ায় চরম বিপাকে পড়তে হচ্ছে। কারণ যতগুলো সাবজেক্ট রয়েছে তার মধ্যে গণিত একটি গুরুত্বপূর্ণ এবং কঠিন সাবজেক্ট। ছাত্র ছাত্রীরা যদি নিজ স্কুল কলেজে শিক্ষকের কাছ থেকে শিক্ষা গ্রহণ করতে না পারে তাহলে নিশ্চয়ই সে বিষয়ে দুর্বল থাকতে হয়। ফলে বাহিরের প্রাইভেট শিক্ষকের কাছে অনেক বেশি টাকা দিয়ে গণিত পড়াতে হচ্ছে। অতি দ্রুত কলেজে একজন অভিজ্ঞ গণিত শিক্ষক নিয়োগ দিলে অভিভাবকরা অতিরিক্ত টাকা দিয়ে প্রাইভেট পড়ানোর হাত থেকে মুক্তি পাবে বলে তিনি মনে করেন।
এবিষয়ে প্রভাষক নীল কোমল সাহা বলেন, কলেজ কমিটির রেজুলেশন ছাড়া পদ সংশোধনের আবেদন করা যাবে না। যেহেতু রেজুলেশন হয়নি তাই আবেদনও করা হয়নি। আর বিষয়টি দেখার জন্য কর্তৃপক্ষ আছে আপনার ব্যস্ত হওয়ার প্রয়োজন নেই।
এব্যাপারে চালনা কলেজ অধ্যক্ষ ড. অচিন্ত্য কুমার মন্ডল জানান, এখন সাচিবিক বিদ্যা বাদ দিয়ে মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনা নতুন নাম দিয়েছে। তবে তার সব কাগজ পত্র মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহা পরিচালকের কাছে পাঠানো হয়েছে। একই সাথে গণিতের শূণ্য পদেরও। কিন্তু এখনো পর্যন্ত কোনটার সমাধান পায়নি। যে কারণে গণিতের শিক্ষক নিয়োগ দিতে বিলম্ব হচ্ছে।