শনিবার সকাল সাড়ে ১০টায় খুলনার গল্লামারী মৎস্য খামারের প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে এক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। কর্মশালায় প্রধান অতিথি মো: হাছানুজ্জামান, যুগ্ম সচিব, মৎস্য ও প্রানি সম্পদ মন্ত্রনালয়।
প্রধান অতিথি বলেন, চাষীদের জন্য নব দিগন্ত উন্মুচোন করতে পারে হরিণা চিংড়ি। উপকূলীয় এলাকার ভাগ্য বদলে দিতে পারে হরিণা চিংড়ি হরিণা চিংড়ি উপকুলীয় এলাকার একটি পরিচিত নাম। সাধানরত বাগদা চিংড়ির ঘেরে সাথী ফসল হিসেবে এটি উৎপাদন হয় এবং জেলেরা নদী থেকেও এটি আহরণ করে থাকেন।
কিন্তু এ চিংড়ির একক চাষ করেও লাভবান হওয়া যায় কিনা সেটি নিয়ে গবেষণা করেছেন সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ড. মৃত্যুঞ্জয় কুন্ড ও প্রফেসর ড. মোহাম্মদ এনামুল কবির। প্রায় এক বছর গবেষণা করার পর আজ এ বিষয়ের উপর মৎস্য বীজ উৎপাদন খামার, খুলনা সদর, খুলনা এ গবেষণা ফলাফলের উপর ভিত্তি করে অনুষ্ঠিত হলো প্রকল্পের সমাপনী কর্মশালা।
মূল গবেষণা প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন প্রফেসর ড. মৃত্যুঞ্জয় কুন্ড। গবেষকগন জানান যে, চিংড়ি চাষীদের জন্য নব দিগন্ত উন্মুচোন করতে পারে হরিণা চিংড়ি। মাত্র ২/৩ মাসে একটি ফসল ঘরে তোলা সম্ভব, সেক্ষেত্রে হরিণা চিংড়ির বছরে অনায়াসে ৩টি ফসল করা সম্ভব এবং এটি বাগদা চিংড়ির থেকে লাভবান ফসল হতে পারে।
তারা আরও জানান যে, এ প্রজাতির চিংড়ি অত্যন্ত কষ্ট সহিন্সু এবং রোগে কম আক্রান্ত হয়। তাই এটি একক চাষের আওতায় আনা গেলে এবং উপক’লীয় ১৬টি জেলায় সেটি ছড়িয়ে দিলে চিংড়ি চাষে বিপ্লব আসবে। গবেষকগন হরিণা চিংড়ির চাষ উপযোগী একটি ইনোভেটিভ খাদ্য তৈরী করেছেন।
কর্মশালায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জনাব বিপুল কুমার বশাক, উপ পরিচালক মৎস্য অধিদপ্তর, খুলনা বিভাগ,খুলনা, গবেষণা প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন প্রফেসর ড. মৃত্যুঞ্জয় কুন্ড, অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন মোঃ জাহাঙ্গীর আলম, পরিচালক, মৎস্য অধিদপ্তর, খুলনা বিভাগ, খুলনা। গবেষণা প্রকল্পটিতে ফান্ডিং করেছে মৎস্য অধিদপ্তরের সাসটেইনেবল কোস্টাল এন্ড মেরিন ফিশারিজ প্রজেক্ট।