ফেনীতে প্রেমিকের বাসায় ফ্যান থেকে ফাতেমা আক্তার পাখি (১৮) নামে এক কিশোরীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। রোববার (৩ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় ফেনীর শহরের পৌরসভার ৮নং ওয়ার্ডের বারাহীপুর এলাকার এ ঘটনা ঘটে।
নিহত ফাতেমা আক্তার পাখি ফেনী সরকারি কলেজের শিক্ষার্থী ও সদর উপজেলার শর্শদী ইউনিয়নের চোছনা গ্রামের জাহাঙ্গীর আলমের মেয়ে।
প্রেমিক সালাহউদ্দিন একই এলাকার বাসিন্দা ও হল্যান্ড প্রবাসী বলে জানা গেছে।
স্থানীয়রা জানান, বিকেলে মেয়েটি পানি পানের নাম করে প্রেমিক সালাউদ্দিনের বাসার দ্বিতীয় তলায় ওঠেন। সেখানে একটি রুমে ঢুকে দরজা আটকে দেন। পরে বাসার লোকজন অনেক ডাকাডাকি করলে মেয়েটির কোনো সাড়া না পেয়ে পরে তারা স্থানীয় কয়েকজনকে ডেকে আনেন। তখন জানালা দিয়ে উঁকি দিয়ে দেখেন মেয়েটি ফ্যানে গলায় ফাঁস দিয়ে ঝুলে রয়েছে।
নিহতের বড়বোন জানান, হল্যান্ড প্রবাসী সালাউদ্দিন নামে এক যুবকের সঙ্গে ৬ বছর ধরে তার বোন ফাতেমার প্রেমের সম্পর্ক ছিল। তার বোনকে বিয়ে করবে বলে আশা দিয়ে রেখেছে ওই যুবক। সালাউদ্দিনের বড় ভাই বাপ্পিসহ পরিবারের লোকজন এ বিয়ে না করার জন্য বাধা দেন। পরে তার বোন ফাতেমাকে কয়েকবার জানে মেরে ফেলার হুমকি ধমকি দেয়া হয়। এ অপমান সহ্য করতে না পেরে তার বোন প্রেমিক সালাউদ্দিনের বাসায় ঢুকে আত্মহত্যা করেছে।
নিহতের মা আখি বলেন, সালাউদ্দিন তার মেয়েকে জিম্মি করে রেখেছে অনেক বছর। কোথাও বিয়ে বসতে অনুমতি দেয় না। তার মেয়ে ওই ছেলের আশায় দিন পার করেছে। মেয়ের মৃত্যুর জন্য সালাউদ্দিনসহ তার পরিবার দায়ী।
ফেনী মডেল থানার এসআই বেলাল হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, নিহত মেয়েটি পরিবারের সঙ্গে ফেনী শহরের নাজির রোডের মিশন হাসপাতালসংলগ্ন একটি ভাড়া বাসায় থাকতেন। খবর পেয়ে মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ফেনী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
ফেনী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শহিদুল ইসলাম চৌধুরী জানান, এ বিষয়ে তদন্তসাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।