জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ৮৪তম বিশেষ সিন্ডিকেট সভায় যৌন হয়রানির অভিযোগে অভিযুক্ত জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনা বিভাগের শিক্ষক সাজন সাহাকে স্থায়ী ও তার মদদদাতা শিক্ষক একই বিভাগের বিভাগীয় প্রধান রেজুয়ান আহমেদ শুভ্রকে সাময়িক বহিষ্কার করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
১৪ মার্চ (বৃহস্পতিবার), বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্টারের কার্যালয় থেকে প্রকাশিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, অদ্য ১৪/০৩/২০২৪ তারিখে অনুষ্ঠিত জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ৮৪ তম বিশেষ সিন্ডিকেট কর্তৃক গৃহীত সিদ্ধান্ত মোতাবেক জানানো যাচ্ছে যে, হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট বিভাগের উদ্ভূত পরিস্থিতিতে বিভাগের সহকারী অধ্যাপক জনাব সাজন সাহাকে চূড়ান্তভাবে বরখাস্ত ও সহযোগী অধ্যাপক জনাব রেজুয়ান আহমেদ অভ্রকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
এর পূর্বে, ১৩ মার্চ বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন অফিস আদেশ বিবৃতিতে মানবসম্পদ ও ব্যবস্থাপনা বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ও সহযোগী অধ্যাপক জনান রেজুয়ান আহমেদ অভ্র এবং একই বিভাগের সহকারী অধ্যাপক জনাব সাজন সাহাকে অনির্দিয়কালের জন্য বাধ্যতামূলক ছুটি প্রদান করে।
সন্তোষজনক বিচায় না পাওয়ায় শিক্ষার্থীরা আবারও আন্দোলনে নামে। সুষ্ঠু বিচারের দাবিতে শিক্ষার্থীরা সকাল ১০টা থেকে আন্দোলনে নামে। তাদের দাবি, বাধ্যতামূলক ছুটি নয় বরং স্থায়ী বহিষ্কার। প্রথমে তারা প্রশাসনিক ভবন ও বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে থাকা সোনালী ব্যাংকের শাখা অফিসে তালা দেন। পরে একে একে বিজ্ঞান ভবন, কলা ভবন, প্রক্টর অফিস, সামাজিকবিজ্ঞান ভবন, ব্যবসাপ্রশাসন ভবনে তালা ঝুলিয়ে সকল প্রশাসনিক ও শিক্ষাকার্যক্রম বন্ধ করে দেয়। এরপর কিছু সময়ের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল বাস চলাচল বন্ধ করে দেয় আন্দোলনকারীরা।
এরপরেই বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে জিরো পয়েন্ট অবরোধ করেন দুই শতাধিক শিক্ষার্থী। দুই শিক্ষকের স্থায়ী বহিষ্কার না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার হুঁশিয়ারি আন্দোলনকারীদের। প্রশাসনিক ভবনে দীর্ঘসময় অবরুদ্ধ থাকার পর একপর্যায়ে আন্দোলনকারীদের সামনে আসেন উপাচার্য, ট্রেজারার, রেজিস্ট্রার সহ অন্যান্য প্রশাসনিক কর্মকর্তারা। পরে, আন্দোলনকারীরা উপাচার্য সৌমিত্র শেখর ও জেলা প্রশাসক দিদারে আলমের আশ্বাসে তাদের আন্দোলন ১৪তারিখ পর্যন্ত স্থগিত করেন।
উল্লেখ্য যে, গত ৪ মার্চ মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনা বিভাগের এক ছাত্রী একই বিভাগের শিক্ষক সাজন সাহার বিরুদ্ধে যৌন হয়রানি ও বিভাগীয় প্রধান রেজুয়ান আহমেদ শুভ্রের বিরুদ্ধে মদদ দেওয়ার অভিযোগ এনে উপাচার্য বরাবর অভিযোগ করেন। এর পর থেকেই বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।