বগুড়ায় ওলামায়ে মাশায়েখ পরিষদের ইফতার মাহফিল থেকে জামায়াত নেতা-কর্মী সন্দেহে নয় জনকে আটক করেছে বগুড়া সদর থানা পুলিশ। রোববার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে শহরের রেড চিলি রেস্তোরাঁ থেকে তাদের আটক করা হয়। তবে আটক ব্যক্তিদের পরিচয় প্রকাশ করেনি পুলিশ। আটকের পর জিজ্ঞাসাদের জন্য তাদের জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) কার্যালয়ে নেওয়া হয়েছে।
বগুড়া সদর থানা সূত্রে জানা যায়, বগুড়া শহরের মফিজপাগলার মোড় এলাকায় রেড চিলি রেস্তোরাঁর পঞ্চম তালায় বগুড়া জেলা পূর্ব ওলামায়ে মাশায়েখ পরিষদের ব্যানারে ইফতারের আয়োজন করা হয়। সেখানে সরকারি মোস্তাফাবিয়া আলিফা মাদ্রাসার অধ্যক্ষ ড. আহমাদুল্লাহ প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও প্রায় ৬০ জন উক্ত ইফতার মাহফিলে অংশ নেন। বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শরাফত ইসলামের নেতৃত্বে সদর থানা ও ডিবি পুলিশ সেখানে অভিযান চালায়। এসময় জামাত শিবির সন্দেহে নয়জনকে জনকে আটক করে পুলিশ।
রেড চিলি রেস্তোরাঁর ব্যবস্থাপক আরিফ হোসেন বলেন, ‘পুলিশ কতজনকে ও কি অপরাধে আটক করেছে তার জানা নেই। তবে এই সংগঠনটির নাকি ইফতার মাহফিলের অনুমতি ছিলনা। দুপুর ৩টায় ওলামায়ে মাশায়েখ পরিষদের ব্যানারে ইফতার মাহফিল শুরু করা হয়। ইসমাইল হোসেন নামে এক ব্যক্তি ইফতারের জন্য রেস্তোরাঁ বুকিং নিয়েছিলেন। তিনি নিজেকে শাজাহানপুরের ডোমনপুকুর কামিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ পরিচয় দিয়েছিলেন।
সরকারি মোস্তাফাবিয়া আলিয়া মাদ্রাসার অধ্যক্ষ ড. আহমাদুল্লাহ বলেন, বগুড়ায় নতুন পদায়ন পেয়ে এসেছি। ডোমানপুকুর কামিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ ইসমাইল আমাকে দাওয়াত করেছিলেন। উনি বলেছিলেন, জেলার বেশকিছু মাদ্রাসার অধ্যক্ষ ও শিক্ষকদের নিয়ে ইফতারের আয়োজন হবে। পরে গিয়ে দেখি ভিন্নকিছু। এই নিয়ে আমি বিব্রত। না বুঝে সেখানে যাওয়াটা ঠিক হয়নি। এ বিষয়ে জানতে ডোমানপুকুর কামিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ ইসমাইল হোসেনের সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তা বন্ধ পাওয়া যায়।
এ দিকে আটক নয় ব্যক্তির পরিচয় জানতে জেলা ডিবি পুলিশের কার্যালয় ও সদর থানায় গিয়েও কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। কর্তব্যরত কোনো কর্মকর্তা আটকদের নিয়ে মন্তব্য করতে রাজি হননি।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শরাফত ইসলাম বলেন, জামায়াত নেতাকর্মী সন্দেহে নয় জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে। বিস্তারিত পরে জানানো হবে।