শুক্রবার ২৭ জুন ২০২৫ ১৩ আষাঢ় ১৪৩২
শুক্রবার ২৭ জুন ২০২৫
ঈদ উপলক্ষে জমে উঠেছে টঙ্গীর চোরাই মার্কেট
টঙ্গী (গাজীপুর) প্রতিনিধি
প্রকাশ: মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ, ২০২৪, ৩:২৬ PM
আসন্ন ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে জমে উঠেছে টঙ্গীর বহুল আলোচিত রেল স্টেশন ও বউবাজারের চোরাই মার্কেট।

রমজান মাসে দিনের বেলা এসব মার্কেটে তেমন মানুষের আনাগোনা না থাকলেও ইফতারের পর থেকে প্রকাশ্যে বেচা কেনা চলে এই দুই চোরাই মার্কেটে। গৃহস্থালি পন্য থেকে শুরু করে ইলেক্ট্রনিকস পন্য, চোরাই মোবাইল ফোন, নামীদামী বিভিন্ন ব্রান্ডের জুতা, কাপড় সহ প্রায় সব পন্য সামগ্রিই সুলভ মূল্যে পাওয়া যায় এসব মার্কেটে। 

এছাড়াও পুরোনো পন্য ঘসামাজা করে নতুন বলেও বিক্রি করা হয় এখানে। এসব মার্কেট থেকে সুলভে পন্য কিনে প্রতিনিয়ত প্রতারিত হচ্ছেন সাধারণ মানুষ। প্রশাসনের নাকের ডগায় এই দুই মার্কেটে চোরাই পন্য বেচা কেনা হলেও অনেকটাই অন্ধকারে স্থানীয় প্রশাসন।

সরেজমিনে ঘুরে জানা যায়, শিল্প অধ্যুষিত বিশেষ শ্রেনীর জেলা গাজীপুরের টঙ্গীর জনগুরুত্বপূর্ণ স্থান টঙ্গী রেলওয়ে জংশন এলাকায় গড়ে উঠেছে শতাধিক চোরাই জুতার দোকান। এসব দোকানে বিভিন্ন ব্রান্ডের নতুন পুরাতন জুতার পাশাপাশি অনায়াসে বিক্রি হচ্ছে চোরাই জুতা। নামী ব্রান্ডের জুতা সুলভ মূল্যে পাওয়ায় এই মার্কেট থেকে জুতা কিনতে ভীড় করেন নিন্ম আয়ের মানুষ। 

সেই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে টঙ্গীর দুই থানা এলাকায় গড়ে উঠেছে একাধিক জুতা চোর সিন্ডিকেট। বাসা বাড়ি, দোকান, অফিস এমনকি মসজিদ মাদ্রাসা থেকে জুতা চুরি করে এই মার্কেটের ব্যবসায়ীদের কাছে নাম মাত্র মূল্যে বিক্রি করে চক্রগুলো। সেই চোরাই জুতা বাছাই করে ঘসা মাজা করে চকচকে করে বিক্রি করেন এই মার্কেটের ব্যবসায়ীরা। এই চোরাই জুতার বাজার সম্পর্কে এলাকার বাসিন্দারা অবগত থাকলেও ভয়ে বা ঝামেলা এড়াতে প্রতিবাদ করেন না কেউ। কারন এই চোরাই মার্কেটের নেপথ্যে রয়েছে একটি প্রভাবশালী রাজনৈতিক মহল।

অপরদিকে চোরাই গৃহস্থলি পন্য, ইলেক্ট্রনিকক্স পন্য ও চোরাই মোবাইল ফোন বিক্রির জন্য দীর্ঘদিন যাবৎ আলোচিত ও পরিচিত টঙ্গীর বউবাজার। সন্ধ্যা হলেই জমে উঠে এই মার্কেটের বেচা কেনা। বিশেষ করে মোবাইল ফোন, হাতঘড়ি, চশমা, চার্জার লাইট, টেবিল ফ্যান, টর্চলাইটসহ গৃহস্থালির নানা পণ্য প্রকাশ্যেই ক্রয়-বিক্রয় চলে এই মার্কেটে। বিভিন্ন সময় থানা পুলিশের অভিযানে বিপুল চোরাই পন্য উদ্ধার ও গ্রেফতারের ঘটনা ঘটলেও বন্ধ হয়নি এই মার্কেটের কার্যক্রম। 

সর্বশেষ ২০২২ সালে বড় অভিযান করে ২৬০টি চোরাই মোবাইল সহ ৯ জনকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। এছাড়াও বিভিন্ন সময় চোরাই পন্যসহ এই মার্কেট থেকে গ্রেফতারের ঘটনা ঘটলেও প্রভাবশালী চোর সিন্ডিকেট বরাবরই থেকে গেছে ধরাছোঁয়ার বাইরে। স্থানীয়দের দাবী এসব মার্কেট বন্ধ নাহলে টঙ্গীতে কমবে না চুরির ঘটনা। যদিও উভয় মার্কেটের ব্যবসায়ীদের দাবী চোরাই পন্য নয় পুরাতন পন্য ক্রয় করে ব্যবহার উপযোগী করে বিক্রয় করেন তারা।
মাছিমপুর এলাকার বাসিন্দা মামুন জানান, এলাকায় যে সমস্ত মালামাল চুরি হয় তার বেশীর ভাগ মাল বিশেষ করে চোরাই জুতা, মোবাইল ফোন ও নিত্য ব্যবহার সামগ্রী এই দুই মার্কেটে পাওয়া যায়। সেই কারণে থানা পুলিশ না করে ভুক্তভুগীরা ওইসব মার্কেট থেকে পন্য গুলো আবার কিনে আনে।

এবিষয়ে টঙ্গী পূর্ব থানার অফিসার ইনচার্জ মুস্তাফিজুর রহমান বলেন, চুরি প্রতিরোধে আমাদের নিয়মিত অভিযান চলমান রয়েছে। চোরাই পণ্যেও মার্কেটগুলো নজরধারিতে রয়েছে।

« পূর্ববর্তী সংবাদপরবর্তী সংবাদ »







  সর্বশেষ সংবাদ  
  সর্বাধিক পঠিত  
এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ
সম্পাদক ও প্রকাশক:
মো. আশরাফ আলী
কর্তৃক এইচবি টাওয়ার (লেভেল ৫), রোড-২৩, গুলশান-১, ঢাকা-১২১২।
মোবাইল : ০১৪০৪-৪০৮০৫২, ০১৪০৪-৪০৮০৫৫, ই-মেইল : thebdbulletin@gmail.com.
কপিরাইট © বাংলাদেশ বুলেটিন সর্বসত্ত্ব সংরক্ষিত