খুলনা টিভি রিপোর্টার্স ইউনিটির নামে ইফতার মাহফিল সংক্রান্ত একটি প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে বিষ্ময় প্রকাশ করেছেন সংগঠনের নবনির্বাচিত আহবায়ক মো. মুন্সি মাহবুব আলম সোহাগ ও সদস্য সচিব বাবুল আখতার সহ আহবায়ক কমিটির নবনির্বাচিত নেতৃবৃন্দ।
বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেছেন, সংগঠনের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী নির্বাচন আয়োজনে ব্যর্থ ও মেয়াদর্ত্তীণ কমিটি ভেঙ্গে সাধারণ সভার মাধ্যমে একটি এডহক কমিটি গঠন করা হয়েছে। সেই কমিটিকে পাশ কাটিয়ে ও সংগঠনের নাম ব্যবহার করা দু:খজনক ও সংগঠনের শৃঙ্খলা পরিপন্থী।
সদ্য সমাপ্ত সাধারণ সভায় মোট ২৩ সদস্যের ১০ জন উপস্থিত ছিলেন এবং ৪ জন জরুরি কাজে বাইরে থাকায় মোবাইলে সম্মতি জ্ঞাপন করেন। শুধু তাই নয় বিলুপ্ত ৯ সদস্যের নির্বাহী কমিটির ৬জন আলোচনায় অংশ নেন এবং আহবায়ক কমিটি গঠনের সম্মতি প্রদান করেন। সেই মোতাবেক উপস্থিত সকলের সর্বসম্মতিতে ৫ সদস্যের এডহক কমিটি গঠন হয়। কিন্তু দু:খজনকভাবে সংগঠনের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করতে মেয়াদ উত্তীর্ণ কমিটির কতিপয় সদস্য নিজেদেও কেটিআরইউ নেতা পরিচয় দিয়ে সংবাদ মাধ্যমে প্রেস বিজ্ঞপ্তি দিয়ে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করছেন।
খুলনা টিভি রিপোর্টার্স ইউনিটি (কেটিআরইউ)’র এডহক কমিটি পেশাজীবী সদস্যদের স্বার্থ রক্ষা, যথা সময়ে নির্বাচন অনুষ্ঠান ও গঠনতন্ত্র অনুযায়ী সংগঠন পরিচালনায় দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। ফলে সংগঠনকে বিতর্কিত বা বিভেদ সৃষ্টি না করার জন্য সকলের প্রতি আহবান জানান। অন্যথায় তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ও আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, সর্বশেষ ২০২২ সালের ১৯ মার্চ কেটিআরইউ’র এক বছরের কমিটি নির্বাচিত হয়। কিন্তু দুই বছরেও ওই কমিটি নির্বাচন দিতে ব্যর্থ হন। নির্বাহী পরিষদের সভা আহবান করেও তারা ব্যর্থ হয়েছে। পরে ভূয়া সাধারণ সভা দেখিয়ে সংবাদ বিজ্ঞপ্তি প্রচার করছে। আশা করছি তাদের এসব কর্মকান্ড ও অপ্রচারে বিভ্রান্ত না হওয়ার জন্য সকলকে বিশেষভাবে অনুরোধ জানান। বিবৃতিদাতা অন্যান্য নেতৃবৃন্দরা হলেন, আমিরুল ইসলাম (ডিবিসি), আমজাদ আলী লিটন (আনন্দ টিভি) ও মো. হেদায়েতুল্লাহ শেখ (বৈশাখী টেলিভিশন)।