লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার চররমনী মোহন ইউনিয়নের চর আলী হাসান গ্রামের কৃষক মো. সোহেল রানা দুই কানি জমিতে সয়াবিনের আবাদ করেছেন। কিন্তু তার আবাদকৃত সয়াবিন ক্ষেত পোকায় নষ্ট করে দিচ্ছে। কোন ধরনের ওষুধ ব্যবহারেও কাজ হচ্ছে না বলে দাবি করেন তিনি।
সোহেল রানা জানায়, কীটনাশকে ভেজাল থাকায় সেগুলো ব্যবহার করে পোকা দমন করা যাচ্ছে না। একাধিকবার তিনি সয়াবিন ক্ষেতে পোকার ওষুধ দিয়েছেন, কিন্তু কোন কাজ হচ্ছে না।
সোহেল বলেন, পোকার পাশাপাশি ক্ষেতে প্রচুর পরিমাণে আগাছা জম্মেছে। পরিষ্কার করেও সেগুলো নির্মূল করা যাচ্ছে না। তাই এবার সয়াবিন চাষাবাদে তার লোকসান হবে।
সোহেলের মতো স্থানীয় কয়েকজন কৃষক একই সমস্যার কথা জানিয়েছেন।
কৃষক সোহেল জানান, দুইকানি জমিতে সয়াবিন চাষাবাদ করেছি। গাছের পাতাগুলো পোকা ফুটো করে ফেলেছে। 'বেল্ট' নামের এক প্রকার কীটনাশক প্রয়োগ করি। কিন্তু ওই ওষুধটি একাধিকবার প্রয়োগ করতে হয়। স্থানীয় একটি কীটনাশকের দোকান থেকে ওষুধটি কিনি। সঠিকভাবে প্রয়োগের বিষয়টি না জানানোর কারণে প্রয়োগ করেও কোন কাজ হয়নি।
তিনি বলেন, চাষাবাদে আমার ৩০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। এছাড়া ক্ষেত থেকে সয়াবিন ঘরে তুলতে আরও ১২ থেকে ১৫ হাজার টাকার মতো খরচ হবে। তাই এবার লাভের বদলে লোকসানে পড়তে হবে।