মেঘালয়ের কোলঘেষা সীমান্তবর্তী শেরপুর জেলা সদর থেকে ১৪কি.মি. দূরে ঝিনাইগাতী উপজেলার হাতিবান্ধা ইউনিয়নের ঘাঘরা লস্করপাড়া গ্রামে অবস্থিত মুসলিম স্থাপত্যের ঐতিহাসিক প্রাচীনতম নির্দশন খান বাড়ী জামে মসজিদ ।
মসজিদটি আজিমোল্লাহ খান নামের এক পরাজিত যুদ্ধা ১২২৮ এবং ইংরেজী ১৮০৮ সালে প্রতিষ্ঠা করেছেন তা খোদাই করে লিখা রয়েছে । পরবর্তীতে মসজিদটি পুনঃসংস্কারের সময় নেমপ্লেটে আজিমোল্লাহ খানের ২পুত্র আফজাল খান ও গোলাপ খানের নাম লিখা রয়েছে ।
স্থানীয় ও প্রবীন লোকজনের মাধ্যমে জানা যায়, পলাশী যুদ্ধে পরাজিত সৈনিকরা বিভিন্ন জায়গা আত্মগোপনে থেকেছেন সেই যুদ্ধের পরাজিত এক সৈনিক আজিমোল্লাহ খান এখানে এসে স্থায়ীভাবে বসাবস শুরু করেন। সেই সুবাদে তিনি এই গ্রামে মসজিদটি নির্মান করেন ।
ঘাঘরা লস্কর গ্রামের খান বাড়িতে ছোট্র অনবদ্য মসজিদটি মোঘল স্মৃতিচিহ্ন নিয়ে মাথা তুলে দাড়িয়ে আছে । মসজিদটি পস্থ ২৭ফুট ও দৈঘ্যও ২৭ফুট এটি বর্গাকার মসজিদ । মসজিদটি ৫৮শতাংশ জমির উপর নির্মিত । ৩০ ফুট দৈর্ঘ্য বিশিষ্ট একটি মাত্র গম্ভুজ ।এছাড়া ৪কোনে ৪টি ছাড়া মোট ১২টি গম্ভুজ রয়েছে । এ গম্ভুজকে ঘিরে আছে ছোট বড় ১০টি মিনার । মসজিদটির উত্তর ও দক্ষিণ পাশে ২টি জানালা আছে । ভিতরে ২টি সুদৃঢ় খিলান আছে ।
মসজিদের ভিতরের অংশে প্রতি ওয়াক্তে ৩০জন মুসুল্লি নামাজ আদায় করতে পারেন । বাইরের অংশে ১০০জন মুসুল্লি নামাজ আদায় করতে পারেন । মসজিদের দেয়ালে গাথুনী ৪ফুট প্রসস্থ যা চুন ও সুরকি দিয়ে গাথা । ভিতের সুন্দর কারুকার্য করা নকশা । মসজিদটি অপরুপ সৌন্দর্য মন্ডিত দৃষ্টি নন্দিত যা দেখতে অসাধারণ । ১৯৯৯ সালে বাংলাদেশ প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর মসজিদটির রক্ষাণাবেক্ষণের দায়িত্ব নেয় ।সম্প্রতি মসজিদের সম্মুখভাগে থাকা মূল্যবান কষ্টিপাথরের নামফলকটি চুরি হয়ে গেছে ।