কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুবি) গত ২৮ এপ্রিল প্রশাসনিক ভবনের সামনে ত্রিমুখী সংঘর্ষে 'শারীরিকভাবে লাঞ্ছনার' বিচার চেয়ে রেজিস্ট্রার বরাবর অভিযোগ করেছেন বাংলা শিক্ষা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মোঃ মোকাদ্দেস-উল-ইসলাম। গত সোমবার (২৯এপ্রিল) বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার দপ্তরে পাঠানো এক অভিযোগ পত্র থেকে এই তথ্য জানা যায়।
অভিযোগপত্রে তিনি উল্লেখ করেন, 'গত ২৮.০৪.২৪ তারিখে আমি ব্যক্তিগত বিশেষ প্রয়োজনে শিক্ষক লাউঞ্জে যাই, ফিরে আসার সময় কৌতূহলবশত প্রশাসনিক ভবনের গেটের সামনে বিশাল জটলা দেখে এগিয়ে যাই, হঠাৎ করেই বিশাল জনস্রোতের মধ্যে পড়ে যাই। এমতাবস্থায় জটলা থেকে বের হয়ে একপাশে দাঁড়াতেই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর কাজী ওমর সিদ্দিকী রানা আমাকে হাত দিয়ে আঘাত (ঘুষি) করে।
ঘটনার সময় ধারণকৃত অসংখ্য ভিডিও ফুটেজে যার প্রমাণ আছে। আমি ঘটনার আকস্মিকতায় হতভম্ব হয়ে যাই। যে প্রক্টর বিশ্ববিদ্যালয়ের শাস্তি ও শৃঙ্খলা বজায় রাখবেন, তিনি নিজেই সন্ত্রাসী কায়দায় তার একজন সিনিয়র সহকর্মীকে এভাবে আঘাত করেন যা ন্যাক্কারজনক, অভূতপূর্ব, অনাকাঙ্ক্ষিত ও খুবই লজ্জাকর। একজন শিক্ষক হয়ে সন্ত্রাসীর মতো আচরণ কেন? বর্তমানে আমি খুবই মানসিক যন্ত্রণার ভেতরে আছি, আমি শারীরিক ও মানসিকভাবে খুবই বিপর্যন্ত এবং আমি অতিমাত্রায় শঙ্কায় আছি, এই সন্ত্রাসী প্রক্টরের হাতে শিক্ষক হিসেবে আমি যদি সুরক্ষিত না থাকি তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা কিভাবে নিরাপদ? এছাড়া ঘটনার ভিডিও ফুটেজ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে পারিবারিক ও সামাজিকভাবে আমার মর্যাদা ক্ষুণ্ণ হয়েছে, যার জন্য এককভাবে কাজী ওমর সিদ্দিকী রানা দায়ী।'
এছাড়া অভিযোগপত্রে তিনি আরও উল্লেখ করেন, 'এই ন্যাক্কারজনক ঘটনা ঘটানোর জন্য কাজী ওমর সিদ্দিকী রানাকে প্রক্টর পদ থেকে বরখাস্ত করে এই ঘটনা তদন্তপূর্বক তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি। আর বিশেষভাবে অনুরোধ করছি, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল সদস্যকে সুরক্ষিত রাখার স্বার্থে ভবিষ্যতে এধরনের সন্ত্রাসী মানসিকতার ব্যক্তিকে কোনোরকমের জনগুরুত্বপূর্ণ প্রশাসনিক দায়িত্ব দেওয়া থেকে দয়া করে বিরত থাকুন।'
উল্লেখ্য, গত রোববার (২৮ এপ্রিল) ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের সহযোগিতায় উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এফ এম আবদুল মঈন প্রশাসনিক ভবনে প্রবেশ করতে গেলে ত্রিমুখী সংঘর্ষে জড়ান শিক্ষক সমিতি, প্রশাসনিক দায়িত্বরত কর্মকর্তা ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।