ব্রাহ্মণবাড়িয়া বিজয়নগর উপজেলায় সারাদেশের ন্যায় তীব্র গরমে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে সাধারণ জনজীবন। গত বেশকয়েকদিন যাবত তীব্র গরমে শিশুরাও রেহাই পাইনি। উপজেলার জুড়ে প্রায় ঘরেই শিশুরা অসুস্থ হয়ে পড়েছে গরমে। জ্বর, ঠান্ডা আর কাশিজনিত আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেশি ।
এদিকে প্রচণ্ড গরমে বিদ্যুৎহীন পোহাতে হচ্ছে চরম ভোগান্তিতে সাধারণ মানুষরা। তাছাড়া গরমে অসুস্থ হয়ে পড়ছে শিশুরা। ঘেমে জ্বর-কাশিসহ ঠাণ্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছে তারা।
বিজয়নগর উপজেলার আলাদাদাউদপুর গ্রামের গৃহিণী শিখা রানী সাহা বলেন, অতিরিক্ত গরমে কারণে নিজেও অসুস্থ হয়ে আছি বেশ কয়েকদিন যাবত, ডাক্তারের পরামর্শ মোতাবেক ফিজিওথেরাপির জন্য আজ গিয়েছিলাম কিন্তু লোডশেডিংয়ের কারণে দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করে থেরাপি দিতে পারিনি, গরমের জন্য পরে বাড়িতে ফিরে যাই।
বিজয়নগর উপজেলার আমতলীর বাজারের অজিত রায় দৈনিক বাংলাদেশ বুলেটিনকে বলেন, সারাদিনে কতবার বিদ্যুৎ যায়, তার হিসাব নেই! তার ওপর শুধু রাতেই ৩-৪ বার লোডশেডিং হচ্ছে। কোনো কোনোদিন রাত থেকে ভোর পর্যন্ত থাকছে না বিদ্যুৎ। ফলে গরমে আমার পরিবারের কেউই ঠিকমতো ঘুমাতে পারছেন না। এতে গরমে অসুস্থ হয়ে পড়ছে শিশুরাও। ঘেমে জ্বর-কাশিসহ ঠাণ্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছে, শিশুসহ মধ্যে বয়সী নারী, পুরুষরাও রেহাই পাচ্ছে না ।
উপজেলার একজন সিএনজি অটোরিকশা চালিত ড্রাইভার তিনি বলেন, ছোট ভাইয়ের ছেলের আড়াই বছরের ছোট বাচ্চাকে নিয়েও বিপাকে আছি। কেননা, রাতে বিদ্যুৎ না থাকলে ঘেমে ঠাণ্ডাজনিত সমস্যায় ভুগতে হচ্ছে। একই সমস্যায় গ্রামের প্রায় সব পরিবারে। ঘন ঘন এমন লোডশেডিংয়ে গ্রামের মানুষজন অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। দিনে যেমন-তেমন কিন্তু, রাতে লোডশেডিং বন্ধ রাখা গেলে মানুষজন শান্তিতে অন্তত ঘুমাতে পারবে। এরকম তীব্র গরমে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছেন আমাদের মত খেতে খাওয়া মানুষরা। তীব্র গরমে সারাদিন পরিশ্রম করে বাড়ীতে এসেও লোডশেডিং এর যন্ত্রণা শান্তি নেই।
উপজেলার বুধন্তি গ্রামের বাসিন্দা রুপম সাহা বলেন,বেশকয়েদিন দিন ধরে প্রচণ্ড গরমের পাশাপাশি ব্যাপকভাবে লোডশেডিং হচ্ছে। দিনে ৫ ঘণ্টাও বিদ্যুৎ পাওয়া যাচ্ছে না। তিনি বলেন, এমন লোডশেডিং আগে কখনও দেখিনি। ঘন ঘন লোডশেডিংয়ের কারণে শিশু ও বৃদ্ধরা বেশি ভোগান্তির মধ্যে আছেন।
তীব্র গরমের অসুস্থতার বিষয়ে, বিজয়নগর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা: মো: মাছুম বলেন, আবহাওয়া পরিবর্তনে কারণে ও তীব্র গরমে শিশুরা অসুস্থ হয়ে পড়ছে। অতিরিক্ত গরমে ঘেমে জ্বর-কাশিসহ ঠাণ্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছে বেশির ভাগ শিশুরাসহ সব বয়সে নারী-পুরুষরা রেহাই নেই। তবে এতে ভয় পাওয়ার কিছু নেই, আমাদের হাসপাতালে নিয়মিত কর্তব্যত ডাক্তাররা শিশুদের সহ সবাইকে যথার্থভাবে সেবা দিয়ে যাচ্ছেন। আর নিয়মিত হাসপাতালে ইমারজেন্সিতে সবসময় মেডিকেল অফিসার ডাক্তার থাকেন।