এমভি আবদুল্লাহর ২৩ নাবিককে নিয়ে আপাতত বড়সড় কোনো আয়োজন করা হচ্ছে না। জাহাজটি আজ সন্ধ্যায় কুতুবদিয়ায় ভিড়লেও নাবিকদের তীরে আনা হবে আগামীকাল (মঙ্গলবার) বিকালে। এমনটাই জানিয়েছেন কেএসআরএম গ্রুপের মিডিয়া উপদেষ্টা মিজানুল ইসলাম।
তিনি বলেন, এমভি আবদুল্লাহর ২৩ নাবিক তীরে উঠবে মঙ্গলবার বিকাল ৪টায়। তাদের লাইটার জাহাজে করে সরাসরি সদরঘাট কেএসআরএম জেটিতে নিয়ে আসা হবে।
কেএসআরএম সূত্র জানিয়েছে, নাবিকদের জেটিতে বরণ করার জন্য কেএসআরএম-এর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে। তারা নাবিকদের ফুল দিয়ে বরণ করে নেবেন। নাবিকদের স্বজনদের কেউ কেউ এসময় জেটিতে উপস্থিত থাকবেন বলেও জানা গেছে।
এদিকে, এমভি আবদুল্লাহ জাহাজে সোমবার ২৩ জন নাবিকের একটি নতুন টিম পাঠানো হবে। জাহাজটিতে থাকা আগের নাবিকরা নতুনদের কাছে দায়িত্ব হস্তান্তর করার পর মঙ্গলবার তীরে আসবেন।
কেএসআরএম গ্রুপের মিডিয়া উপদেষ্টা মিজানুল ইসলাম বলেন, ‘এমভি আবদুল্লাহর ২৩ নাবিক সুস্থ আছেন। গত ৩০ এপ্রিল ভোররাত ৪টার দিকে জাহাজটি সংযুক্ত আরব আমিরাতের মিনা সাকার বন্দর থেকে ৫৬ হাজার মেট্রিক টন চুনাপাথর নিয়ে দেশের পথে রওনা দেয়। জাহাজটি সোমবার সন্ধায় কুতুবদিয়ায় পৌঁছেছে।
সোমালিয়ার জলদস্যুদের কবল থেকে দীর্ঘ এক মাস পর গত ১৩ এপ্রিল স্থানীয় সময় রাত ১২টা এবং বাংলাদেশ সময় রাত ৩টায় মুক্তি পায় এমভি আবদুল্লাহ জাহাজসহ ২৩ নাবিক। এর আগে, জলদস্যুদের মুক্তিপণের টাকা পৌঁছানো হয় একটি বিশেষ এয়ারক্রাফটের মাধ্যমে। এই এয়ারক্রাফট থেকে দস্যুদের নির্ধারিত স্থানে তিনটি ব্যাগভর্তি ডলার পৌঁছানো হয়।
প্রসঙ্গত, মুক্তির পর জাহাজটি দুবাইয়ের উদ্দেশে রওনা দেয়। ২১ এপ্রিল বিকাল সাড়ে ৪টা নাগাদ সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ের আল হারমিয়া বন্দরের বহির্নোঙরে পৌঁছে জাহাজটি। জাহাজটিতে থাকা ৫৫ হাজার মেট্রিক টন কয়লা সেখানে খালাস করা হয়। পরবর্তী সময়ে আমিরাতের মিনা সাকার বন্দর থেকে ৫৬ হাজার মেট্রিক টন চুনাপাথর লোড করা হয়। এসব পণ্য নিয়ে দেশের পথে রওনা দেয় এমভি আবদুল্লাহ।