স্ত্রীর সঙ্গে পরকীয়ার জেরে বগুড়ায় আলী হাসান হত্যা মামলায় তার বন্ধু সবুজ সওদাগরকে (৩২) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শনিবার দুপুরে আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। এর আগে শুক্রবার রাতে উপজেলার বেলাইলের হাজীর মিল এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
পুলিশ জানায়, সবুজ তার বন্ধু আলী হাসানের স্ত্রী মিতু বেগমের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছিল। এ নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে হত্যাকাণ্ডটি সংগঠিত হয়। সবুজ ‘বঙ্গবন্ধু সৈনিক লীগ’ নামে কথিত একটি সংগঠনের জেলা শাখার সভাপতি।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গত ১৪ মে দুপুরে সদরের শহরদীঘি গ্রামে নিজ বাড়িতে ডেকে নিয়ে বন্ধু আলী হাসানকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করে সবুজ। এ ঘটনায় নিহতের বাবা আলী জিন্না বাদী হয়ে সবুজ সওদাগরসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেন। এ মামলার অন্য আসামিরা হলেন- সবুজের মা সিল্কী বেগম, সবুজের ভাই সম্রাট সওদাগর ও তার স্ত্রী লিপি বেগম।
জানা যায়, আলী হাসান ও সবুজ ঘনিষ্ঠ বন্ধু ছিলেন। তারা নিয়মিত একে অপরের বাড়িতে যাতায়াত করতেন। এক বছর আগে আলী হাসান জেলহাজতে থাকার সময় তার স্ত্রী মিতুর সঙ্গে সবুজের সম্পর্ক গড়ে উঠে। জামিনে বের হয়ে আলী হাসান বিষয়টি টের পেলে দ্বন্দ্বের শুরু হয়। একপর্যায়ে দুজনের মধ্যে আপোষ-মীমাংসা হলে আগের মতো তাদের স্বাভাবিক চলাফেরা শুরু হয়।
গত মঙ্গলবার আলী হাসান সবুজের বাড়িতে আসার পর দুজনের মধ্যে ফের বাকবিতণ্ডা ও হাতাহাতি শুরু হয়। একপর্যায়ে আলী হাসানকে ছুরিকাঘাত করে সবুজ। পরে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।