বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি মন্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৯৮১ সালের ১৭ মে স্বদেশে প্রত্যাবর্তন করেন। বাঙ্গালি জাতির জীবনে তিনটি প্রত্যাবর্তন দিবস গুরুত্বপূর্ণ। ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি, ১৯৮১ সালের ১৭ মে এবং ২০০৭ সালের ৭ ই মে। এই তিনটি দিবস বাঙ্গালির জীবনের মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছে।
তিনি আজ (শনিবার) বিকালে খুলনা খালিশপুর প্লাটিনাম জুবিলী জুট মিলস লি: প্রাঙ্গণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষ্যে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় একথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, ১৫ আগস্ট ১৯৭৫ সাল বাঙালি জাতির ইসিহাসে এক কলঙ্কজনক অধ্যায়। দেশের স্বাধীনতাবিরোধী ষড়যন্ত্রকারীদের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ মদদে ঘাতকচক্রের হাতে ধানমন্ডির নিজ বাসবভনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সপরিবারে নিহত হন। বঙ্গবন্ধুর খুনিরা এখনও বাংলাদেশে বিচরণ করছে। শেখ হাসিনাকে ১৯ বার হত্যা করার চেষ্টা করা হয়েছিলো।
তিনি বলেন, শেখ হাসিনা মানুষের স্বাস্থ্যসেবা দোরগোড়ার পৌঁছে দিয়েছেন, পহেলা জানুয়ারি প্রায় ৩৬ কোটি বই বিনামূল্যে শিক্ষার্থীদের মাঝে বিতরণ করা হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আসার পরে ৩৪ লাখ গৃহহীন মানুষকে ঘর দিয়েছেন, ঠিকানা দিয়েছেন ও আশ্রয় দিয়েছেন। বিএনপি-জামায়াত ক্ষমতায় থাকাকালে বাংলাদেশকে অন্ধকারে ডুবিয়ে দিয়ে গিয়েছিলো, লুটপাট করেছিলো।
অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথির বক্তৃতায় খুলনা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক বলেন, খুলনার যত উন্নয়নের দৃশ্যপট প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আমলেই হয়েছে। অন্য কোন সরকারের পক্ষে এতে উন্নয়ন সম্ভব না। এজন্য প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে আমরা গর্ববোধ করি।
অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা ছিলেন খুলনা-৩ আসনের সংসদ সদস্য এস এম কামাল হোসেন। খালিশপুর থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি এ কে এম ছানাউল্লাহ নান্নুর সভাপতিত্বে এতে স্বাগত বক্তৃতা করেন সাধারণ সম্পাদক মোঃ মনিরুল ইসলাম বাশার।
খালিশপুর থানা আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ এবং বীর মুক্তিযোদ্ধারা মন্ত্রীকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান।