ভোটার কম থাকায় অলস সময় পার করছেন প্রিসাইডিং অফিসার, সহকারী প্রিসাইডিং অফিসার, পোলিং অফিসারসহ পোলিং এজেন্টরাও। এমনকি কেউ কেউ তো আবার গভীর ঘুমে মগ্ন। মেহেরপুরের গাংনী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে উপজেলার কাথুলী ইউনিয়নের ২নং কুতুবপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে গিয়ে এমন চিত্র দেখা গেছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, কেন্দ্রে তেমন কোনো ভোটার নেই। নির্বাচনে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা আনসার ও পুলিশ সদস্যরা মাঠে রয়েছেন। তাদের মধ্যেও নেই কোনো ব্যস্ততা। অনেকেই বসে আছেন চুপচাপ। কেন্দ্রের ২ নম্বর বুথে ব্যালট পেপার সঙ্গে নিয়ে বেঞ্চে মাথা দিয়ে বিভোরে ঘুমাচ্ছেন পোলিং অফিসারের দায়িত্বে থাকা মোছা. রাবেয়া খাতুন। ডাকাডাকি করেও সাড়া নেই তার।
তিনি রাবেয়া খাতুন গাংনী উপজেলা হিন্দা গার্লস স্কুলের সহকারী শিক্ষিকা। পরে তাকে সজরে ডেকে তোলেন সহকারী প্রিসাইডিং অফিসার। অবশেষে আচমকা ঘুম ভাঙে তার।
রাবেয়া খাতুন বলেন, অনেকক্ষণ যাবত ভোটারের দেখা মেলেনি। বসে থাকতে থাকতে কখন যে ঘুমিয়ে পড়েছি বুঝতে পারিনি। তারপর শরীরটাও খুব খারাপ। কয়েকদিন যাবত অসুস্থতা নিয়ে চলাফেরা করছি। ভোটার না থাকায় বার বার ঘুম আসছে।
প্রিসাইডিং অফিসার মশিউর রহমান জানান, ২নং কুতুবপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের মোট নারী ভোটার সংখ্যা ১ হাজার ৯৫১ জন। দুপুর ২টা পর্যন্ত ভোট পড়েছে ৫২০টি। তবে আস্তে আস্তে ভোটার উপস্থিতি বাড়ছে। সকালর দিকে ভোটার উপস্থিতি কম ছিল। বেলা বাড়ার সাথে সাথে ভোটার উপস্থিতি বেড়েছে।
রাবেয়া খাতুনের ঘুমিয়ে যাওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, মানুষ হঠাৎ করেই অসুস্থ হতে পারে। আবার কেউ হঠাৎ ঘুমিয়ে যেতে পারেন। তবে কেউ অসুস্থ হলে তার ভোটের ডিউটি না করাই ভালো। ভোটার উপস্থিতি নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন রিটানিং কর্মকর্তা।
উল্লেখ্য, সারাদেশে দ্বিতীয় ধাপে উপজেলা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। ইতোমধ্যে মেহেরপুর সদর ও মুজিবনগর উপজেলা পরিষদ নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হয়েছে। আজ মঙ্গলবার গাংনী উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ উপজেলায় মোট ভোটার সংখ্যা ২ লাখ ৬০ হাজার ৯৬ জন। এদের মধ্যে পুরুষ ভোটার ১ লাখ ২৯ হাজার ৮৪৯জন এবং নারী ভোটার ১ লাখ ৩০ হাজার ২৪৭জন।