সর্বজনীন পেনশন স্কিমে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে অন্তর্ভুক্ত করার সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে এবং এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন বাতিলের দাবিতে মানববন্ধন করেছে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি।
রোববার (২৬ মে) সাড়ে ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনিক ভবনের নিচে এ মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্ধশতাধিক শিক্ষক অংশগ্রহণ করেন।
এ সময় সর্বজনীন পেনশন স্কিমকে বৈষম্যমূলক আখ্যা দিয়ে দেশের স্বায়ত্তশাসিত বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মকর্তা, কর্মচারীদের জন্য সর্বজনীন পেনশন সংক্রান্ত ‘প্রত্যয় স্কিম’ প্রজ্ঞাপন প্রত্যাহার, সুপার গ্রেডে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের অন্তর্ভুক্তকরণ এবং শিক্ষকদের জন্য স্বতন্ত্র বেতন স্কেল প্রবর্তনের দাবি জানান তারা। দাবি আদায়ে কর্ম বিরত থাকার পাশাপাশি প্রয়োজনে রাস্তায় নেমে আন্দোলন করারও হুঁশিয়ারি দেন তাঁরা।
মানববন্ধনে নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. তুষার কান্তি সাহা ও সাধারণ সম্পাদক সহযোগী অধ্যাপক ড. শফিকুল ইসলাম এর উপস্থিতে বক্তব্য রাকগেন সংগঠনের সাবেক ও বর্তমান নেতারা।
সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. তুষার কান্তি সাহা বলেন, আমি মনে করি জাতিকে মেধাশূন্য করার জন্য এটা একটা গভীর ষড়যন্ত্র। জাতি যেভাবে এগিয়ে যাচ্ছে জাতিকে মেধাশূন্য করে স্মার্ট বাংলাদেশ গঠন করা যাবে না। কম মেধাবী শিক্ষকরা যাতে বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশ করতে না এজন্য আমি সার্বজনীন পেনশন স্কিম বাতিলের দাবি জানাচ্ছি।
শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক, কেন আজকে আমরা রাস্তায় দাঁড়িয়েছি। কারন আজকে আমাদের দেয়ালে পিঠ ঠেকে যাচ্ছে।
বর্তমানে যে সর্বজনীন পেনশন স্কিম চালু হয়েছে তার ফলে উচ্চ শিক্ষাকে ধ্বংসের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। এর ফলে জাতির যে টেকসই উন্নয়ন তা বাধাগ্রস্ত হবে।আপনারা অবগত আছেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়কে স্বায়ত্তশাসনের অধিকার দিয়েছেন যাতে শিক্ষা গবেষণা এবং উন্নয়নের মাধ্যমে দেশ এগিয়ে যেতে পারে।কিন্তু সার্বজনীন পেনশন স্কিম চালু হওয়ায় তা বাধাগ্রস্ত হবে বলে আমি মনে করি এবং সার্বজনীন পেনশন স্কিম বাতিলের জোর দাবি জানাচ্ছি।