ঘূর্ণিঝড় রেমাল মোকাবেলায় কাজ করছে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স। ঝড় শুরু হওয়ার পর থেকে ২ জনকে নিহত ও ৪ জনকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। এ পর্যন্ত ১৫৫টি গাছ অপসারণ করা হয়েছে। বিভিন্ন ফায়ার স্টেশনে ১৬৩ জনকে আশ্রয় দেওয়া হয়েছে।
ঝড় শুরু হওয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স কর্তৃক উদ্ধার কাজের বিবরণ নিম্নে তুলে ধরা হলো-
আহত-নিহত উদ্ধার
চট্টগ্রামের চন্দননগরে দেয়াল ধসে নিহত ১ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। নাম সাইফুল ইসলাম হৃদয়, বয়স আনুমানিক ২৬ বছর।
বরিশাল বিভাগের বাউফলে গাছচাপায় নিহত ১ জনকে উদ্ধার করা হয়। নাম মোঃ আব্দুল করিম খান, বয়স আনুমানিক ৬৫ বছর। এছাড়া আহত ২ জনকে উদ্ধার করে নিকটস্থ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
ঢাকার কেরানীগঞ্জে ঝড়-বৃষ্টির কারণে উল্টে যাওয়া গাড়িতে চাপা পড়া দুজনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এদের একজন পুরুষ, বয়স আনুমানিক ৫৫ বছর, অপরজন মহিলা, বয়স আনুমানিক ৩৩ বছর। আহতদের নাম জানা যায়নি।
ঝরে রাস্তায় পড়ে যাওয়া গাছ অপসারণ
চট্টগ্রাম বিভাগে ১৯টি গাছ রাস্তা থেকে এবং ২টি গাছ বাসা বাড়ি থেকে অপসারণ করা হয়েছে। বরিশাল বিভাগে ৫৫টি গাছ রাস্তা থেকে এবং ১০টি গাছ বাসা বাড়ি থেকে অপসারণ করা হয়েছে। রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন স্থানে রাস্তা থেকে ১৮টি গাছ অপসারণ করা হয়েছে। রাজশাহী বিভাগে ১০টি গাছ অপসারণ করা হয়েছে। খুলনা বিভাগেও ৪১টি গাছ রাস্তা থেকে অপসারণ করা হয়েছে।
বিকেল ৫টা পর্যন্ত পাওয়া তথ্য অনুযায়ী ফায়ার সার্ভিস কর্তৃক ঝড়ে পড়া মোট গাছ অপসারণ করা হয়েছে ১৫৫টি।
আশ্রয় প্রদান
বরিশালের গলাচিপা ফায়ার স্টেশনে মোট ১২০ জনকে আশ্রয় দেয়া হয়েছে, এখনো সেখানে ৬৩ জন অবস্থান করছেন। এছাড়া একই বিভাগের বরগুনার পাথরঘাটা ফায়ার স্টেশনে ১৭ জন, ভোলা ফায়ার স্টেশনে ২০ জন এবং ইন্দুরকানি ফায়ার স্টেশনে ৬ জনকেসহ বিভিন্ন ফায়ার স্টেশনে মোট ১৬৩ জনকে আশ্রয় দেওয়া হয়েছে।