ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর উপজেলা পরিষদ ১০ ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত এ উপজেলা। নির্বাচনের প্রচার প্রচারণা নিয়ে বেশ মুখরিত হয়ে উঠেছে উপজেলা সকল এলাকায়।
গত ২০ মে প্রতীক বরাদ্দের পর পরই গ্রামগঞ্জে পাড়া মহল্লায়, হাট- বাজারে ঝুলছে প্রার্থীদের নিজ নিজ ছবি ও মার্কা সম্বলিত ব্যানার ও পোস্টার। এছাড়া নানারকম ছন্দে ছন্দে আর গানের তালে তালে মাইকে চলছে ভোটাদের মন ভুলানো প্রচার প্রচারণা।
নির্বাচনের দিন যতই ঘনিয়ে আসছে প্রার্থীদের ততই যেন ব্যস্ততা আর দৌঁড়ঝাপ বেড়ে চলছে। এদিকে নিজেদের বিজয় নিশ্চিত করতে প্রার্থীরা রাত দিন একাকার ছুটে বেড়াচ্ছেন উপজেলার এক প্রান্ত থেকে অন্যপ্রান্তে। ভোট প্রার্থনা করে ঘুরছেন ভোটারদের দ্বারে দ্বারে।
প্রার্থী ও তার সমর্থকরা নিজেদের ব্যক্তিগত ফেসবুকে নির্বাচনি লিফলেট দিয়ে নানা রকম স্ট্যাটাস নিয়মিত পোস্ট করে প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন। এতে করে প্রবাসীদের দৃষ্টিতে আসছে নির্বাচনের সার্বিক চিত্র।
হরষপুর ইউনিয়নের জালালপুর গ্রামের বাসিন্দা পলাশ সাহা দৈনিক বাংলাদেশ বুলেটিন প্রতিনিধিকে বলেন, আমাদের সাধারণ ভোটারদের ভাষ্য ,যোগ্য দক্ষ ও মানবতার কল্যাণে ও উপজেলার সার্বিক উন্নয়ন এবং নিরাপদ উপজেলা বজায় রাখতে যে প্রার্থী অগ্রণী ভূমিকা রাখবেন আমরা সেই প্রার্থীকেই ভোট দিয়ে জয়ী করবো। আমরা সাধারণ জনগণ এইটাই চাই শান্তি ও নিরাপদ।
চান্দুরা ইউনিয়নের বুধন্তি গ্রামের বাসিন্দা রুপন রায় বলেন, নির্বাচনে কারা বিজয়ী হবেন এ নিয়ে হাট বাজার, গ্রামগঞ্জে, পাড়া- মহল্লায় ও হোটেল টি-স্টল গুলোতে ভোটারদের মধ্যে শুরু হয়েছে নানা আলোচনা বিভিন্ন মতামত। কেউ বলছেন চেয়ারম্যান পদে দ্বিমুখী লড়াই হবে আবার কেউ বলছেন ত্রিমুখী লড়াই হবে। এনিয়ে ভোটারদের মধ্যেও নানা বাগবিতন্ডা শুরু হয়েছে। আমরা চাই সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচন,যাতে আমাদের মতো সাধারণ মানুষরা কেন্দ্রে গিয়ে নিজের ভোট নিজে দিতে পারি সেই পরিবেশটা ঠিক থাকে এইটা আমাদের একমাএ চাওয়া পাওয়া।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, নির্বাচন কমিশন কর্তৃক ঘোষিত তপসিল মোতাবেক ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের চর্তুথ পর্যায়ের শেষ ধাপে আগামী ৫ জুন এ উপজেলায় নির্বাচন ব্যালটের মাধ্যমে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। এতে চেয়ারম্যান পদে ৬ জন, ভাইস চেয়ােম্যান পদে ৯ জন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৫ প্রার্থী মনোনয়ন দাখিল করেন। কিন্তু এই তিনপদের বিপরীতে ২০ জন প্রার্থী মনোনয়ন দাখিল করেন।