গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে অংশ নেয় ২৪টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়। সকল শিক্ষার্থীদের পছন্দের শীর্ষ স্থানে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) কারণ হিসাবে তারা মনে করেন ক্যাম্পাসটি ঢাকার বুকে অবস্থিত এবং চাকরির বাজারে একটি বিশেষ সুযোগ আছে বলে মনে করেন ভর্তি ইচ্ছুক শিক্ষার্থীরা। পুরান ঢাকা বাংলাদেশের একটি ঐতিহ্যপূর্ণ জায়গা, যেখানে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ( জবি) অবস্থিত।
আমরা সবাই কম-বেশি জবি সম্পর্কে জানি। এটি একটি পুরোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। বুড়িগঙ্গা নদীর তীরে গড়ে উঠেছে এই বিশ্ববিদ্যালয়। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের আশেপাশে রয়েছে নানা ধরনের বিখ্যাত জায়গা যেমন:আহসান মঞ্জিল, বিউটি বোর্ডিং বাহাদুর শাহ পার্ক, লালকুঠি এর মতো বিভিন্ন ধরনের গুরুত্বপূর্ণ ও পরিচিত জায়গা।
একজন শিক্ষার্থী জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে( জবি) ভর্তি হলে নানা ধরনের সুযোগ সুবিধা পেতে পারে যেমন: নিজে নিজে আয় করে পড়াশোনা করতে পারা, পার্ট টাইম জব করা, টিউশনি করা, কোচিং ক্লাসে শিক্ষকতা করা,কম টাকায় ভালো মানের বিভিন্ন ধরনের খাবার খাওয়ার সুযোগ, বিভিন্ন পুরনো জায়গা দেখার সুযোগ আর সবচেয়ে বড় সৌভাগ্যের বিষয় হলো যে, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো একটি নামী-দামী প্রতিষ্ঠানে পড়তে পারার সুযোগ,যে সুযোগ সবার কপালে জুটে না ইত্যাদি। এক কথায় বিভিন্ন ধরনের সুযোগ সুবিধা পাওয়া যায় এখানে এবং অন্য বিশ্ববিদ্যালয় থেকে চাকুরী বাজারে ও এগিয়ে থাকা যায়। আরও নানা ধরনের সুযোগ সুবিধা রয়েছে।
সুখ ও দুঃখ নিয়েই মানুষের জীবনে। মানুষের জীবনে সুখ -দুঃখ থাকবে এটাই প্রকৃতির নিয়ম তেমনি জবিতে পড়াশোনা করতে হলেও নানা ধরনের বাঁধা বিপত্তি পোহাতে হয় মাঝে মাঝে। কারণ কষ্ট করলেই সুখ পাওয়া যায়। বাঁধা বিপত্তি গুলো হলো:
মেস সমস্যা : জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ছেলেদের জন্য কোন হল নেই। সে কারণে একজন শিক্ষার্থীকে থাকতে হয় মেসে।এসব শিক্ষার্থীদের মধ্যে অনেকেই আছে যারা কখনো মেসে থাকেনি আগে কখনো। সে কারণে নতুন মেস জীবনের সাথে মানিয়ে নিতে তাদের খুব কষ্ট হয়। এছাড়া রয়েছে পানির সমস্যা, গরমের সমস্যা এবং দূষিত বায়ু ইত্যাদি।
পানির সমস্যা : বর্তমানে বাংলাদেশের বেশিরভাগ এলাকার পানি হলো আর্সেনিকযুক্ত। তাছাড়া ঢাকার কথা বললে তো মাথায় নেমে আসে চিন্তার ছাপ। অনেক মেসের পানি ভালো নয়। সে কারণে পানি ফুটিয়ে খেতে হয়। এবং কিছু কিছু মেসে বোতল পানি কিনে খায়। আবার কেউ কেউ বুথ থেকে পানি সংগ্রহ করে।
টিউশনি সমস্যা : অনেকে টিউশন পেতে সমস্যা হয় তবে বিজ্ঞান বিভাগের হলে খুব তাড়াতাড়ি টিউশন পাওয়া যায় তারপর ব্যবসায় শাখা তারপর মানবিক। সে কারণে প্রথমে শিক্ষার্থীদের পরিবারের উপর নির্ভর করতে হয় তবে সবাই নয়। যাদের যোগাযোগ দক্ষতা ভালো তারা খুব সহজে পেয়ে যায়।
আর্থিক সংকট : আমাদের দেশের মানুষ তেমন ধনী নয়। বেশিরভাগ মধ্যবিত্ত। একজন শিক্ষাথী মেসে থাকতে হলে কমপক্ষে ৬০০০ টাকা লাগে, তবে এলাকা ভেদে কম বেশি হতে পারে। সে হিসেবে পরিবারের উপর চাপ পড়ে।
রুমমেট সমস্যা : বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলা থেকে ঢাকায় পড়তে আসেন শিক্ষার্থীরা। এক এক জেলার সংস্কৃতি এক এক ধরনের। মনমানসিকতার ও ভিন্নতা রয়েছে। আমরা অনেকেই ইন্ট্রোভার্ট টাইপের। কোন সমস্যা হলে কারও সাথে শেয়ার করতে পারি না। তাদের জন্য প্রথম প্রথম এই শহর খুব বিরক্তকর মনে হতে পারে। তবে মানিয়ে নিতে পারলে খুব ভালো লাগে।
খাবারের সমস্যা : আমরা মোটামুটি সবাই জানি, মেসে বুয়া দ্বারা রান্না করা হয়। কিন্তু আমরা অনেকেই নিজের মায়ের হাতের রান্না ছাড়া খেতে পারি না। তাদের জন্য প্রথম কয়েক মাস সমস্যা হতে পারে। তবে সবার জন্য নয়।
১৮ ব্যাচের একজন শিক্ষার্থী বলেছে যে,এই পুরান ঢাকা তার কাছে প্রথম প্রথম খুব খারাপ লেগেছিল তবে এখন কিছুটা ভালো লাগছে।
১৭ ব্যাচের এক শিক্ষার্থী মতামত দিয়েছেন যে, পুরান ঢাকা প্রথম প্রথম আমার ভালো লাগতো তবে এখন তেমন ভালো লাগে না।