ঈশ্বরদীতে স্টেভিয়ার চাষ উদ্বুদ্ধকরনে “জিরো ক্যালরি স্টেভিয়ার চারা উৎপাদন, আধুনিক চাষাবাদ প্রযুক্তি ও কলাকৌশল" শীর্ষক মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত হয়েছে। ৮ জুন শনিবার ঈশ্বরদীর ঢুলটিতে এই মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত হয়।
টিস্যু কালচারের মাধ্যমে স্টেভিয়ার চারা উৎপাদন, মাঠ মূল্যায়ন ও স্টেভিওসাইড নিষ্কাশন কর্মসুচির অর্থায়নে প্রশিক্ষণটি বাস্তবায়ন করে বায়োটেকনোলজি বিভাগ, বাংলাদেশ সুগারক্রপ গবেষণা ইনস্টিটিউট। মাঠ দিবসে প্রধান অতিথি ছিলেন বিএসআরআই এর মহাপরিচালক ড. মো. ওমর আলী। বিশেষ অতিথি ছিলেন বিএসআরআই পরিচালক (গবেষণা) ড. কুয়াশা মাহমুদ ও ঈশ্বরদী প্রেসক্লাবের সভাপতি মোস্তাক আহমেদ কিরণ।
বিএসআরআই এর মহাপরিচালক ড. মো. ওমর আলী বলেন, স্টেভিয়ার ক্যালরিমুক্ত এ মিষ্টি ডায়াবেটিস রোগী সেবন করলে রক্তে গ্লুকোজের পরিমাণ পরিবর্তন হয় না। উচ্চরক্তচাপ প্রতিরোধ করে। যকৃত, অগ্ন্যাশয় ও প্লীহায় পুষ্টি উপাদান সরবরাহ করে।
স্টেভিওসাইড অগ্ন্যাশয় থেকে ইনসুলিন নিঃসরণে সহায়তা করে। ত্বকের ক্ষত নিরাময় ও দাঁতের ক্ষয় রোধ করে। খাদ্য হজমে সহায়তা করে। স্টেভিয়ায় কোন ক্যালরি না থাকায় স্থূলতা রোধ করে। শরীরের ওজন কমাতে সহায়তা করে।
মিষ্টি জাতীয় খাবারে চিনির বিকল্প হিসেবে ব্যবহার করা যায়। খাবারের গুণাগুণ বাড়ায় ও সুগন্ধ আনে। সুস্থতা ও সতেজতাবোধ সৃষ্টি করে। ব্যাকটেরিয়া সাইডাল এজেন্ট হিসেবে কাজ করে। স্কিন কেয়ার হিসেবে কাজ করে, বিধায় ত্বকের কোমলতা এবং লাবণ্য বাড়ায়। স্বাদ বৃদ্ধিকারক হিসেবে কাজ করে।
বিএসআরআই বায়োটেকনোলোজি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ড. নাদিরা ইসলাম এর সভাপতিত্বে এসময় বায়োটেকনোলোজি বিভাগের বিজ্ঞানী আশিষ কুমার ঘোষ, আব্দুর রহমান মিলন, কৃষক আশরাফুল বক্তব্য রাখেন। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন বায়োটেকনোলোজি বিভাগের বিজ্ঞানী মো. আব্দুল আজিম। পরে বহরপুরের চাষী মো. মুজিবুর রহমানের স্টেভিয়ার মাঠ পরিদর্শন করা হয়।