ফের অস্থির দেশের ডিমের বাজার। গত দু-সপ্তাহ ধরে সিন্ডিকেটের কবলে পড়ে অতিপ্রয়োজনীয় এই ভোগ্যপণ্যের দাম লাগামহীন। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, একটি চক্র পরিকল্পিতভাবে কয়েক স্তরে গোটা দেশের ডিমের বাজার নিয়ন্ত্রণ করছে।
অভিযোগ রয়েছে, তেজগাঁও ডিম ব্যবসায়ী সমিতি পুরো সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণ করে থাকে। তাদের এসএমএসের (খুদে বার্তা) ভিত্তিতেই খামারি ও পাইকারি পর্যায়ে দাম নিয়ন্ত্রিত হয়। ঈদের সময়ে কিছুটা স্থিতিশীল থাকলেও ফের বাড়ছে ডিমের দাম। রাজধানীর বাজারে কোথাও কোথাও একটি ডিমের দাম পড়ছে ১৫ টাকা।
গতকাল উত্তর বাড্ডার একটি দোকানে এক ক্রেতা দুটি ডিম কিনতে চাইলে দোকানি ৩০ টাকা মূল্য দাবি করেন। এ হিসেবে ডজন পড়ে ১৮০ টাকা। তবে ওই দোকানেই ডজন বিক্রি হচ্ছে ১৭৫ টাকায়। এতে প্রতিটি ডিমের দাম ১৪-১৫ টাকা পড়ে।
মিরপুরের কয়েকটি বাজারেও ৬০ টাকা হালিতে ডিম বিক্রি করতে দেখা যায়। হঠাৎ করে ডিমের অস্বাভাবিক দাম বাড়ায় কম আয়ের অনেকে বিপাকে পড়েছেন। যারা বেশি দাম দিয়ে মাছ বা মাংস কিনতে পারেন না তাদের অনেকে ডিম খেয়ে পুষ্টি চাহিদা মেটান।
মিরপুরের কয়েকটি বাজারেও ৬০ টাকা হালিতে ডিম বিক্রি করতে দেখা যায়। হঠাৎ করে ডিমের অস্বাভাবিক দাম বাড়ায় কম আয়ের অনেকে বিপাকে পড়েছেন। যারা বেশি দাম দিয়ে মাছ বা মাংস কিনতে পারেন না তাদের অনেকে ডিম খেয়ে পুষ্টি চাহিদা মেটান।
অন্যদিকে ক্রেতাদের প্রশ্ন, একটা ডিমের দাম কিভাবে ১৫ টাকা হয়? তারা জানান, ঈদের আগে বাজার মোটামুটি স্বাভাবিক হয়েছিল। কিন্তু ঈদের পর সরবরাহ থাকা সত্ত্বেও একটা ডিমে ৩ থেকে ৪ টাকা পর্যন্ত বাড়তি নেওয়া হচ্ছে। এই দামে তো বাচ্চাদের দিনে ১টা ডিম খাওয়ানোর পরিস্থিতিও আমরা হারিয়ে ফেলছি বলেও ক্ষোভ প্রকাশ করেন ভোক্তারা।
প্রান্তিক খামারিরা বলছেন, ডিমের করপোরেট ব্যবসায়ী ও আড়তদারদের পুরনো চক্র সক্রিয় হয়ে ওঠায় বাজারে এ অস্থিরতা তৈরি হয়েছে। এ নিয়ে বাংলাদেশ পোল্ট্রি অ্যাসোসিয়েশন (বিপিএ) দাবি করেছে, সারাদেশে হঠাৎই সিন্ডিকেটের মাধ্যমে ডিমের বাজার অস্থির হয়েছে। এর নেপথ্যে রয়েছে রাজধানীর তেজগাঁও ডিম ব্যবসায়ী সমিতির কারসাজি। কারণ তারাই সারাদেশের ডিমের বাজার নিয়ন্ত্রণ করে।
এদিকে বুধবার রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে প্রতি ডজন ডিম বিক্রি হয়েছে ১৫৫ থেকে ১৬০ টাকায়, যা পাড়া-মহল্লার দোকানে বিক্রি হয়েছে ১৬৫ টাকার ওপর। আর ডিমের হালি বিক্রি হয়েছে ৬০ টাকা দরে।