চট্টগ্রাম নগরীর চান্দগাঁও থানার অভ্যন্তরে হাজতখানা থেকে মো. জুয়েল (২৬) নামের এক আসামির ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
বুধবার (৩ জুলাই) ভোর সাড়ে ৬টার ২৫ মিনিটে এই ঘটনা ঘটে। পুলিশ এটিকে আত্মহত্যা বললেও নিহতের পরিবারের দাবি এটি পরিকল্পিত হত্যা৷
চান্দগাঁও থানার পুরুষ হাজত খানার সিসি ক্যামরার ফুটেজে দেখা যায় আটক জুয়েল নিজের জামা পেঁচিয়ে টয়লেট সংলগ্ন ভেন্টিলেটরের সঙ্গে ঝুলে আত্মহত্যা করে। মাত্র কয়েক মিনিট সময়ের মধ্যে জুয়েল নিজের গলায় ফাঁস দেয়ার প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন করেন৷ তবে ফাঁস লাগিয়ে ঝুলে পড়ার পর তাকে বেশ কয়েকবার হাত-পা ছুঁড়তে দেখা যায়। এসময় উক্ত হাজত খানায় আর কোন আসামি ছিল না৷
মো. জুয়েল চান্দগাঁও খেজুরতলা এলাকার মৃত আব্দুল মালেক প্রকাশ আব্দুল মাবুদের ছেলে। তাকে চান্দগাঁও থানা পুলিশ গত রাতে (২ জুলাই) একটি ডাকাতি মামলায় গ্রেপ্তার করেছিল।
চান্দগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহিদুল কবির বাংলাদেশ বুলেটিনকে বলেন, গতকাল রাতে পরোয়ানামূলে মো. জুয়েলকে গ্রেপ্তার করে থানার হাজতখানায় রাখা হয়। আজ ভোরে জুয়েল নিজের পরনের শার্ট খুলে হাজতের ভেন্টিলেটরের সঙ্গে গলায় ফাঁস দিয়ে মৃত্যুবরণ করে। সিসিটিভির ফুটেজে তা স্পষ্ট রয়েছে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, পারিবারিক হতাশা থেকে আত্মহত্যা করেছেন তিনি।
জুয়েলের বিরুদ্ধে কোতোয়ালি থানায় ডাকাতির প্রস্তুতি এবং অস্ত্র আইনে মোট ৭টি মামলা রয়েছে।
এদিকে ছেলের মৃত্যুর খবর পেয়ে সকালে চান্দগাঁও থানায় জুয়েলের মা মিনারা বেগম ও বড় বোন সালমা আক্তারসহ আত্মিয়রা হাজির হন। এসময় জুয়েলের মা উপস্থিত গণমাধ্যমকে বলেন, "আমার ছেলে হাসি খুশি অবস্থায় ছিল৷ সে বসে ছক্কা (লুডু) খেলছিল৷ এই অবস্থায় তাকে পুলিশ তুলে নিয়ে আসে৷" তারা এটিকে পরিকল্পিত হত্যা বলে অভিযোগ করেন৷