কোটা ব্যবস্থার সংস্কারের দাবিতে তৃতীয় দিনের মতো আজ বুধবার (৮ জুলাই) সকাল-সন্ধ্যা সর্বাত্মক ‘বাংলা ব্লকেড’ কর্মসূচির অংশ হিসেবে সড়কে নেমেছেন কোটাবিরোধী আন্দোলনকারীরা।
‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন’ ব্যানারে সকাল থেকে বিভিন্ন সড়ক ও রেলপথ ব্লক করেন বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী এবং চাকরিপ্রার্থীরা।
আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের চলমান ‘বাংলা ব্লকেড’ কর্মসূচির মঙ্গলবার বিরতি দিয়ে আজ বুধবার (১০ জুলাই) সকাল থেকে আন্দোলন শুরু হয়।
সকালে রাজধানীর শাহবাগ, সায়েন্সল্যাব, বাংলামোটর, ফার্মগেট, আগারগাঁও ও মহাখালীসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক ব্লক করে দেয় শিক্ষার্থীরা। দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে কারওয়ান বাজার রেলগেট ও মহাখালী রেল ক্রসিংয়ে কাঠের গুড়ি ফেলে আন্দোলন করতে দেখা যায়। এতে ঢাকার সঙ্গে সাড়া দেশে রেল যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গেছে।
কমলাপুর রেলস্টেশন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফোরদৌস বলেন, দুপুর ১২টার পর কোটা আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা রেললাইনে কাঠ ফেলে অবরোধ করে রেখেছে। আমরা খবর পেয়ে দ্রুত এখানে চলে এসেছি; যাতে করে কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে।
তিনি আরও বলেন, রেললাইন অবরুদ্ধ থাকায় ঢাকার সঙ্গে সারা দেশের রেল যোগাযোগ সাময়িক বন্ধ আছে। তবে আমরা চেষ্টা করছি দ্রুত রেল চলাচল স্বাভাবিক করতে।
এক আন্দোলনকারী বলেন, আমাদের যৌক্তিক আন্দোলন মানতে হবে। একটি স্বাধীন দেশে সরকারি চাকরিতে এত বৈষম্য থাকবে কেন? সংবিধান অনুযায়ী পিছিয়ে পড়া মানুষদের এগিয়ে নিতে কোটা পদ্ধতি। অথচ সরকার গোটা জাতিকে পিছিয়ে ফেলছে।
শিক্ষার্থীরা জানান, আমাদের পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী আজ রেললাইন অবরুদ্ধ করা হয়েছে। দাবি না মানা পর্যন্ত আন্দোলন চলবে। পর্যায়ক্রমে আন্দোলন আরও বেগবান হবে বলেও জানান তারা।
কারওয়ান বাজার ও মহাখালী রেলগেট এলাকা ঘুরে দেখা যায়, কোটা আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা রেললাইনে ওপরে কাঠের বিভিন্ন গুড়ি ও বাঁশ ফেলে অবরোধ করছে।
এছাড়াও রেল ক্রসিংয়ের ব্যারিকেড ফেলেও অবরুদ্ধ করে রাখা হয়েছে। এতে রেলগেট দিয়ে কোনও যানবাহনও চলাচল করতে পারছে না।