শনিবার ২১ জুন ২০২৫ ৭ আষাঢ় ১৪৩২
শনিবার ২১ জুন ২০২৫
দেশে স্থানীয়ভাবে জলবায়ুর পরিবর্তন
ড. শেখ তৌহিদুল ইসলাম
প্রকাশ: রবিবার, ১৪ জুলাই, ২০২৪, ৫:০৩ PM
জলবায়ু শব্দটির ব্যাপ্তি শুধু ‘জল’ ও ‘বায়ু’ শব্দ দুটির মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। তাপমাত্রা, বৃষ্টিপাত, আর্দ্রতা, মেঘের পরিচলন বা সঞ্চালন, বাতাসের চাপ ইত্যাদি চলকের গড় অবস্থা এবং এসবের সময়ানুক্রমিক পরিবর্তন, গড় অবস্থা থেকে বিচ্যুতি, পরিবর্তনশীলতা সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ ও বিশ্লেষণের মাধ্যমে জলবায়ু সম্পর্ক আমাদের ধারণা প্রদান করে। এসব চলক আমাদের চারপাশের প্রাকৃতিক পরিবেশ সম্পর্কে ধারণা লাভের ক্ষেত্রেও ব্যবহার করা হয়।

পাশাপাশি আমাদের পরিবেশে ঘটমান বিভিন্ন সিস্টেম যেমন হাইড্রোলজি, ফ্লুভিয়াল সিস্টেম, জিওফিজিক্যাল ও বায়োলজিক্যাল প্রক্রিয়া ইত্যাদি বোঝা এবং ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণের জন্যও এসব চলককেই ব্যবহার করা হয়। 

স্থানীয় এ চলক ও প্রক্রিয়াগুলো আবার আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক বিভিন্ন প্রক্রিয়া, যেমন এনসো সিস্টেম (যা এল নিনো, লা নিনা নামে পরিচিত), মৌসুমি বায়ুপ্রবাহ, বৈশ্বিক বায়ুপ্রবাহ, জেট স্ট্রিম, সমুদ্রস্রোত এমনকি অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল প্রক্রিয়া, যেমন চাঁদ ও সূর্যের প্রভাবে সংঘটিত টাইডাল প্রক্রিয়ার সঙ্গে সম্পর্কিত।

নিবন্ধের প্রারম্ভে এ বিষয়গুলো অবতারণার কারণ এটা বোঝানো যে জলবায়ু বা ক্লাইমেট পরস্পর সম্পর্কিত বিভিন্ন স্কেলে (স্থানীয়, আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক) সংঘটিত অসংখ্য জটিল সিস্টেমের চূড়ান্ত অবস্থা, যা শুধু জলবায়ু শব্দটি দিয়ে প্রকাশ করা কষ্টসাধ্য। এ ভিন্নতা ও পারস্পরিক সম্পর্কিত প্রক্রিয়াগুলোর বিশ্লেষণ জলবায়ু বিষয়ক আলোচনাকে এক ধরনের মাত্রা প্রদান করে। আরো গভীরভাবে প্রকাশ করলে জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে মানুষ ও প্রকৃতি সম্পর্কিত সিস্টেমের ওপর প্রভাব তৈরি হয়। 

গবেষণায় সেই বিষয়গুলো বিশ্লেষণ করতে গেলে তা আরো জটিল হয়ে পড়ে। এ জটিলতা থেকে মুক্তি পেতে সহজে বোধগম্য ও জ্ঞানার্জন এবং নীতি তৈরিতে সেই জ্ঞান ব্যবহার করার জন্য প্রয়োজনীয় ও নির্ভরযোগ্য গবেষণা প্রয়োজন, যা আমাদের দেশে অপ্রতুল। 

ভালো মানের গবেষণা না হওয়ার কারণে একাডেমিক পিয়ার রিভিউড জার্নালে জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি ও প্রভাব সম্পর্কে প্রত্যাশিত মানের ও সংখ্যায় গবেষণা নিবন্ধ প্রকাশ হয় না। এ কারণে ইন্টারগভার্নমেন্টাল প্যানেল অন ক্লাইমেট চেঞ্জসহ (আইপিসিসি) অন্যান্য গ্লোবাল রিপোর্টে আমাদের সমস্যা প্রতিফলিত হয় না এবং চূড়ান্ত বিচারে আমাদের সমস্যাগুলো সম্পর্কে আমরা গ্লোবাল কমিউনিটিতে তুলে ধরতে পারি না। বাংলাদেশে জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষেত্রে কী ঘটছে—এ প্রশ্নের উত্তরে আমরা সাধারণত বিভিন্ন দুর্যোগের চিত্র তুলে ধরি।

আমরা জলবায়ুর উপাদানগুলোকে নিয়ে কম বিশ্লেষণ করে থাকি। দুর্যোগ শুধু জলবায়ু পরিবর্তন নয় বরং জলবায়ু পরিবর্তনের চূড়ান্ত অবস্থা বা অভিঘাত—আমরা সেই বিষয়টি বিবেচনায় নিই না। এ পার্থক্যটি না বোঝার কারণে অভিঘাত নিয়ে জলবায়ু পরিবর্তনের আওতায় এর আলোচনা মূল আলোচনা থেকে আমাদের দৃষ্টি সরিয়ে নেয়। ফলে আমরা জলবায়ু পরিবর্তনের অভিঘাত মোকাবেলার জন্য প্রস্তুত হতে পারি না। 

২০১৩ সালে আইপিসিসির প্রতিবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে পৃথিবীর তাপমাত্রা বৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা ১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস নির্ধারণ করা হয়েছিল। কিন্তু বিশ্ব এ লক্ষ্যমাত্রা পূরণে পর্যাপ্ত পদক্ষেপ নিতে ব্যর্থ হয়েছে। এ কারণে ২০১৫ সালে প্যারিস জলবায়ু চুক্তির সময় উন্নয়নশীল ও দ্বীপ রাষ্ট্রগুলো উন্নত দেশগুলোকে তাপমাত্রা বৃদ্ধি ও কার্বন নির্গমনে আরো দায়িত্বশীল হওয়ার জন্য চাপ প্রয়োগ করে। 

জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর জন্য ক্ষতিপূরণ দাবি করে বাজেট বাড়ানোর আহ্বান জানানো হয়। দ্বীপ রাষ্ট্রগুলো জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলাকে তাদের বেঁচে থাকার লড়াই হিসেবে উপস্থাপন করে। ২০১৮ সালে প্রকাশিত আইপিসিসির বিশেষ প্রতিবেদনে বৈশ্বিক তাপমাত্রার যে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল তা পূরণ করতে হলে ২০৩০ সালের মধ্যে কার্বন নিঃসরণ অর্ধেকে এবং ২০৫০ সালের মধ্যে কার্বন নিঃসরণ ও জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার শূন্যে নামিয়ে আনতে হবে। অন্যথায় ২০৩০ থেকে ২০৫২ সালের মধ্যেই পৃথিবীর তাপমাত্রা বাড়বে ১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। 

অর্থাৎ যে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে এ শতাব্দীর শেষে তা অতিক্রম করবে মাত্র দেড়-দুই দশকের ব্যবধানে। তাপমাত্রা বৃদ্ধির এ ধারা অব্যাহত থাকলে ২০৯০ সালে পৃথিবীর তাপমাত্রা ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস বাড়বে বলে বিজ্ঞানীরা মনে করছেন। এমন পরিস্থিতি তৈরি হলে দক্ষিণ এশিয়ায় বেশি বন্যা ও খরা হবে এবং খাদ্য উৎপাদন হ্রাস পাবে। বাংলাদেশের তাপমাত্রা ২ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস বাড়লে বন্যাপ্রবণ এলাকা প্রায় ২৯ শতাংশ বাড়বে।

২০৮০ সাল নাগাদ সমুদ্রস্তর ৬৫ সেন্টিমিটার উঁচু হলে বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলের ৪০ শতাংশ উৎপাদনশীল ভূমি হারাবে। এরই মধ্যে বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকার প্রায় দুই কোটি মানুষ সুপেয় পানি সংকটে রয়েছে। তারা লবণাক্ত ও পুকুরের পানি খাবার ও গোসলের কাজে ব্যবহার করতে বাধ্য হচ্ছেন। 

বাংলাদেশে স্থানীয়ভাবে জলবায়ুর চলকগুলো গত পাঁচ-ছয় দশকে যে পরিবর্তন ঘটেছে, তা উদ্বেগজনক। ২০১১-২০ সালের মধ্যে তাপমাত্রা বেড়েছে ১ দশমিক শূন্য ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং এ বৃদ্ধি দিনের সর্বনিম্ন তাপমাত্রায় বেশি। শীতকালে সর্বনিম্ন তাপমাত্রায় বৃদ্ধি ঘটেছে দশমিক ৪৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং মৌসুমি ঋতুর সময়ে এ বৃদ্ধির হার প্রায় শূন্য দশমিক ৫২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। প্রতি বছর বাংলাদেশ উপকূলে সমুদ্র সমতলের উচ্চতা বৃদ্ধির হার ৩-৬ মিলিমিটার এবং বৈশ্বিক পর্যায়ে এ হার ৩ দশমিক ৭ মিলিমিটার (২০০৬-১৮ সালের তথ্যানুসারে)। 

বৈশ্বিক পরিবর্তনের দিকে তাকালে দেখা যায় যে, বিশ্বের ভূভাগের তাপমাত্রা ১৮৫০-১৯০০ সালের গড় মানের তুলনায় ১ দশমিক ৫৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেড়েছে। মহাসাগরীয় অঞ্চলে এ বৃদ্ধি দশমিক ৮৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বৈশ্বিক ও স্থানীয় পর্যায়ে তাপমাত্রার এ পরিবর্তনের জন্য গ্রিনহাউজ গ্যাসগুলোর ভূমিকা ৮০ শতাংশ, যা মূলত জীবাশ্ম জ্বালানি, শিল্প-কারখানা, যানবাহন ও নির্মাণসংক্রান্ত খাত থেকে উদ্ভূত। বাকি ২০ শতাংশ পরিবর্তনের জন্য দায়ী অপরিণামদর্শী ভূমির ব্যবহার ও কৃষির মতো খাতগুলো। জলবায়ুর এ নিয়ামকগুলোর পরিবর্তনের ফলে খরা, মরুময়তা, ভূমিক্ষয় ত্বরান্বিত হচ্ছে; অতিবৃষ্টি, বন্যা, হিটওয়েভ ও সাইক্লোনের প্রভাব বেড়ে চলেছে। 

বাংলাদেশকে জলবায়ুসহিষ্ণু, পরিবেশবান্ধব এবং দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জনে সরকার সময়োপযোগী ও সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য সামনে রেখে স্বল্প ও দীর্ঘমেয়াদি বিভিন্ন স্তরের (জাতীয়, খাতভিত্তিক ও স্থানীয়) নীতি পরিকল্পনা প্রণয়ন করেছে। এর মধ্যে ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত বাংলাদেশ গঠনের জন্য জাতীয় কৌশলগত পরিকল্পনা-২০৪১ অন্যতম। 

যেখানে মানুষের গড় আয় হবে ১২ হাজার ৫০০ মার্কিন ডলার। এ লক্ষ্য সামনে রেখে মুজিব জলবায়ু সমৃদ্ধি পরিকল্পনা ২০২২-৪১ প্রণয়ন করা হয়েছে। মূলত জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকির বিপদাপন্নতা অবস্থা থেকে বেরিয়ে সমৃদ্ধির দিকে যেতেই এ পথনির্দেশিকা (রোডম্যাপ) তৈরি করেছে সরকার। এ নীতি পরিকল্পনায় বিভিন্ন খাতের জন্য সুনির্দিষ্ট অভিযোজন পরিকল্পনার কথা প্রস্তাব করা হয়েছে এবং বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে অভিযোজন পরিকল্পনাকে অন্তর্ভুক্ত করতে বলা হয়েছে, যা অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জনে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে। 

জলবায়ুসহিষ্ণু অর্থনীতি, সমাজ ও প্রতিবেশ নিশ্চিতকরণে পরিকল্পনা কমিশন উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাব (ডিপিপি) প্রক্রিয়ায় ডিজাস্টার ইমপ্যাক্ট অ্যাসেসমেন্ট (ডিআইএ) প্রবর্তন করেছে। এর মাধ্যমে জলবায়ু, পরিবেশ এবং উন্নয়ন কর্মসূচিকে সমন্বিতভাবে প্রস্তাব করার পথ সুগম করেছে। এটি বলার অপেক্ষা রাখে না যে, এসব নীতির আওতায় বাস্তবায়িত কর্মসূচি ভূমি পুনরুদ্ধার, প্রতিবেশ উন্নয়ন ও মরুময়তা রোধেও কার্যকরী ভূমিকা পালন করবে। 

এসব নীতি কাঠামোর আওতায় জলবায়ুসহিষ্ণু টেকসই অর্থনীতি ও সমাজ গঠনের ক্ষেত্রে মূলত তিনটি বিষয় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রথমত, প্রয়োজনীয় তথ্যের ঘাটতি, তথ্য হালনাগাদ না করা এবং তথ্যের অপূর্ণাঙ্গতা, যা বিভিন্ন ধরনের তথ্যের সমন্বয় সাধনকে বাধাগ্রস্ত করে। এর অসংখ্য উদাহরণ দেখা যায়, যা পরে অন্য কোনো নিবন্ধে আলোচনা করা যাবে।

দ্বিতীয়ত, অর্থের অপ্রতুলতা ও অর্থ সঠিকভাবে ব্যবহার না করা। উদাহরণ হিসেবে কমপ্রিহেনসিভ ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট প্রোগ্রাম (সিডিএমপি) দ্বিতীয় পর্বের কথা উল্লেখ করা যেতে পারে, যেখানে পাঁচ বছরে উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা ও বাংলাদেশ সরকারের অংশগ্রহণে প্রায় ১০০ মিলিয়ন ডলার খরচ করা হয়েছে। বিপুল ব্যয়ে পরিচালিত এ প্রকল্পের ব্যর্থতার বিষয়াদি প্রকল্পের চূড়ান্ত মূল্যায়ন প্রতিবেদনে বিস্তারিত তুলে ধরা হয়েছে।

অর্থের অপচয় ও ব্যর্থতা থেকে শিক্ষা গ্রহণ করে পরবর্তী সময়ে ভালো কাজের সুযোগ তৈরি হতে পারে, কিন্তু বাংলাদেশে এ সংস্কৃতির অভাব রয়েছে। তৃতীয়ত, প্রকল্প প্রণয়ন, বাস্তবায়ন ও মূল্যায়নে প্রাতিষ্ঠানিক দক্ষতার অভাব। দক্ষতা ঘাটতির কারণে অধিকাংশ নীতি পরিকল্পনা প্রণয়নে পরামর্শক কিংবা দাতা সংস্থা কিংবা এনজিওর ওপর নির্ভর করতে হয়। এ নির্ভরশীলতা সরকারের ইচ্ছার সঙ্গে সবসময় পরিপূরক হয় না। ফলে প্রকল্প বাস্তবায়ন হয় কিন্তু লক্ষ্য অর্জন দূরে থেকে যায়। চূড়ান্ত বিচারে এ কথা বলা যায় যে, নীতি পরিকল্পনার ঘাটতি বাংলাদেশে বর্তমানে তেমন নেই। 

সরকার যথাযথ নীতি প্রণয়নের মাধ্যমে রাজনৈতিক প্রতিশ্রুতি দৃঢ়ভাবে দৃশ্যমান করেছে। ঘাটতি রয়েছে নীতি বাস্তবায়নে নিয়োজিত প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামোয়। বিশেষ করে দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয় মানসম্পন্ন গবেষণা সম্পাদন করতে পারলে ভালো একাডেমিক জার্নালে প্রকাশ হতে পারত। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়গুলো মানসম্পন্ন গবেষণা সম্পাদনে ব্যর্থ হচ্ছে। এ দুর্বলতার কারণে বাংলাদেশের খুবই কম গবেষণা প্রবন্ধ আন্তর্জাতিক জার্নালে প্রকাশ হয়। ফলে আন্তর্জাতিক রিপোর্টগুলোতেও (যেমন আইপিসিসি) কম প্রতিফলিত হচ্ছে।

তথ্যের ঘাটতি পূরণে অসংখ্য নতুন দিগন্ত উন্মোচন হয়েছে। নাসা (এনএএসএ) ও ইসা (ইএসএ) তাদের স্যাটেলাইট তথ্য সবার জন্য বিনামূল্যে ব্যবহারের জন্য উন্মুক্ত করে দিয়েছে। রাডার, লাইডার, ড্রোনের মাধ্যমে তথ্য সংগ্রহ ও বিশ্লেষণের মাধ্যমে উচ্চ রেজল্যুশনের তথ্যের ঘাটতি পূরণের নতুন সুযোগ তৈরি হয়েছে। এসব ব্যবহারের জন্য প্রয়োজন দক্ষ জনশক্তি ও শক্তিশালী প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো। 

স্যাটেলাইট রিমোট সেনসিংয়ের মাধ্যমে সমুদ্র ও মাটির লবণাক্ততা, বায়ু ও মাটি দূষণ, তাপমাত্রা, বৃষ্টিপাতের পরিবর্তনশীলতা অনুধাবন, পানিতে বিদ্যমান ফাইটোপ্লাঙ্কটনের প্রাচুর্য ইত্যাদি অসংখ্য ক্ষেত্রে তথ্য আহরণ ও অবস্থার মূল্যায়ন সম্ভব, যা তথ্যভিত্তিক সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহণে সহায়ক। বঙ্গবন্ধু দ্বিতীয় স্যাটেলাইট সিস্টেম ৩-১১টি স্যাটেলাইটের কনস্টেলেশনের মাধ্যমে বাংলাদেশের জন্য আর্থ রিসোর্স তথ্য সংগ্রহ করবে।

পরিবেশ দূষণ ও জলবায়ু পরিবর্তনসংক্রান্ত তথ্য আহরণের জন্য এসব স্যাটেলাইটে কী ধরনের সেন্সর সংযুক্ত করতে হবে তা সুচারুভাবে পরিকল্পনা করে নিতে হবে। বিদ্যমান ঘাটতি পূরণ করে ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ জলবায়ুসহিষ্ণু টেকসই পরিবেশের উন্নত বাংলাদেশে পরিণত হবে- এ প্রত্যাশা আমরা করতে পারি।

লেখক: অধ্যাপক ও পরিচালক, ইনস্টিটিউট অব রিমোট সেনসিং অ্যান্ড জিআইএস, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় 

« পূর্ববর্তী সংবাদপরবর্তী সংবাদ »







  সর্বশেষ সংবাদ  
  সর্বাধিক পঠিত  
এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ
সম্পাদক ও প্রকাশক:
মো. আশরাফ আলী
কর্তৃক এইচবি টাওয়ার (লেভেল ৫), রোড-২৩, গুলশান-১, ঢাকা-১২১২।
মোবাইল : ০১৪০৪-৪০৮০৫২, ০১৪০৪-৪০৮০৫৫, ই-মেইল : thebdbulletin@gmail.com.
কপিরাইট © বাংলাদেশ বুলেটিন সর্বসত্ত্ব সংরক্ষিত