আন্দোলন শুরুর পর থেকে বুধবার (২৪ জুলাই) পর্যন্ত ব্যাপক হতাহতের ঘটনা ঘটেছে। নিহতদের মধ্যে পুলিশ সদস্য রয়েছেন তিন জন, এছাড়াও আহত হয়েছেন ১ হাজার ১১৭ জন। পুলিশ সদর দফতর জানিয়েছে, এই আন্দোলন চলাকালে পুলিশের ২৩৫টি থানা, ফাঁড়ি ও ক্যাম্প ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। পুলিশের ২৮১টি বিভিন্ন ধরনের যানবাহন ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে।
কোটা নিয়ে গত ১ জুলাই চুড়ান্ত কর্মসূচি ঘোষণা করেন কোটা সংস্কারে আন্দোলনকারীরা। গত ১৬ জুলাই কোটা আন্দোলন সহিংস হয়ে উঠলে ওইদিন ঢাকা ও ঢাকার বাইরে ছয় জন নিহত হন। রংপুরে পুলিশের গুলিতে নিহত হন বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও কোটা সংস্কার আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক আবু সাঈদ। এরপরই অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে গোটা দেশ। রাজধানীসহ সারা দেশে নজিরবিহীন জ্বালাও-পোড়াও এবং ভাঙচুর চালানো হয়েছে।
ফায়ার সার্ভিসের তথ্য অনুযায়ী, গত সাত দিনে সারা দেশে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে ১১৩টি। এরমধ্যে ঢাকাতেই অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে ৯০টি।
পুলিশ সদর দফতর সূত্রে জানা যায়, সারা দেশে ১ হাজার ১১৭ জন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। যারা দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
পুলিশ সদর দফতর জানায়, সারা দেশে নৈরাজ্যবাদীরা পুলিশের বিভিন্ন ধরনের ২৮১টি যানবাহন ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ করেছে। ২৩৫টি থানা, ফাঁড়ি ও ক্যাম্পে হামলা, ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ করেছে। পুলিশের সম্পদ ও স্থাপনার কী পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে, সেটা নিরূপণের কাজ চলছে। বিস্তারিত জানতে আরও কিছু সময় লাগবে বলে জানান সংশ্লিষ্টরা।
আন্দোলন চলাকালে পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে তিন পুলিশ সদস্য নিহত হয়েছেন। তারা রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় আহত হন। পরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। নিহত পুলিশ সদস্যরা হলেন, ইন্সপেক্টর মাসুদ পারভেজ।
তিনি পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) নারায়ণগঞ্জে কর্মরত ছিলেন। তিনি রাজধানীর কদমতলীতে আহত হয়েছিলেন। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। এছাড়া যাত্রাবাড়ী এলাকায় সহিংসতায় নিহত হন ট্যুরিস্ট পুলিশের এএসআই মুক্তাদির এবং ডিএমপির নায়েক গিয়াস উদ্দিন।