খুলনায় বস্তা পদ্ধতিতে আদা চাষ জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। ফলে চাষ বাড়ছে। আদা একটি মসলা জাতীয় ফসল। গৃহীনিদের রান্নায় তরকারিতে স্বাদ বাড়াতে আদার জুড়ি নেই। এবছর খুলনা কৃষি অঞ্চলের জেলায় ৩৪৬৭ জন কৃষক ৬৯৯৩৫টি বস্তায় আদা চাষ করেছেন। গতবছর ১৩৮৮০টি বস্তায় আদা চাষ করা হয়েছিল।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর খুলনা অঞ্চল সূত্র জানায়, ৩০টি উপজেলায় ৩৪৬৭ জন কৃষক ৬৯৯৩৫টি বস্তায় ১৩১.৪হেক্টর জমিতে আদা চাষ করেছেন। এর মধ্যে খুলনা জেলায় ১১টি উপজেলায় ২৭৬জন কৃষক১৩৮৯৫টি বস্তায় ৪০ হেক্টর জমিতে আদা চাষ করেন। বাগেরহাট জেলায় ৯টি উপজেলয় ১১৬জন কৃষক ১৪০৩০টি বস্তায় ১৮.৪ হেক্টর জমিতে আদা চাষ করেন।
সাতক্ষীরায় জেলায় ৭টি উপজেলয় ৮০৫জন কৃষক ১৪০৬০টি বস্তায় ৫০ হেক্টর জমিতে আদা চাষ করেন। নড়াউল জেলায় ৩টি উপজেলয় ২২৭০জন কৃষক ২৭৯৫০টি বস্তায় ২৩ হেক্টর জমিতে আদা চাষ করেছেন।
সূত্র জানান, এপ্রিল- মে মাসে আদা লাগাতে হয়। তবে এপ্রিল মাসের প্রথম সপ্তহে লাগানো উপযুক্ত সময়। জানুয়ারি ফেব্রুয়ারি মাসে ফসল তোলা হয়। পরিপক্ক হলে পাতা হলদে হযে যায় এবং কান্ড শুকাতে থাকে। প্রতি বস্তায় জাত ভেদে ১-৩কেজি পর্যন্ত ফসল পাওয়া যায়। ভালো ফসল পেতে হলে বস্তার উর্বরতার ওপর নির্ভর করে।
খরচ কম লাভ বেশী। প্রতি বছর বস্তা পদ্ধতিতে চাষে ধুকছে মানুষ। কারণ নানা দুর্যোগে পানি জমে ক্ষেত নষ্ট হয়ে যায় এবং কৃষক লোকসানের মুখে পড়ে। একারণে বস্তা পদ্ধতিতে ঝুকছে মানুষ। ছায়া যুক্ত স্থানে ফলন ভালো হয়। অনেকে বাড়ির আঙ্গিনায় টব ও বাড়ির ছাদেও আদা লাগানো হয়েছে। এজন্য আলাদা কোন জায়গার প্রয়োজন হয়না। অতিবৃষ্টি ও বন্যায় নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা থাকেনা। ফসল তোলার পর একই বস্তায় অন্য ফসল লাগানো যায়।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর খুলনা অঞ্চলের ভারপ্রাপ্ত অতিরিক্ত পরিচালক কাজী জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, বস্তা পদ্ধতিতে আদা চাষ করলে পরিবারের চাহিদা মিটিয়ে বিক্রয় করা যায়। এতে কৃষক আর্থিক ভাবে লাভবান হচ্ছেন। সংসারে একটি বাড়তি আয়। নারীরাও এই চাষ করতে পারেন। খরচ কম লাভ বেশী। আলাদা জমির প্রয়োজন হয়না। তিনি বেশী করে বস্তা পদ্ধতিতে আদা চাষ করার আহবান জানান।