গত কয়েকদিনের টানাবৃষ্টিতে রায়পুর উপজেলার বিভিন্ন স্থানে জলাবদ্ধতা ভয়াল রুপ ধারণ করতে চলছে। পানিবন্ধি হয়ে পড়ছে প্রত্যন্ত গ্রাম গুলোর কয়েকহাজার মানুষ।
টানা বৃষ্টিতে তলিয়ে গেছে ইরি ধানের বীজতলা,বিভিন্ন জলাশয়,পুকুর-ডোবা নালায় অতিরিক্ত পানি জমে যাওয়ার কারণে মাছ চাষীরা পড়েছেন চরম বিপাকে।
পুকুর এবং তার পাশ্ববর্তী বিল গুলো এখন পানিতে টুইটম্বুর,ফলে অনায়াসেই পুকুরে চাষের মাছ বা বিভিন্ন দেশীয় প্রজাতির মাছ পুকুর থেকে বেরিয়ে গিয়ে চলে যাচ্ছে উন্মুক্ত স্থানে, আর এতে লাখ লাখ টাকা ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছেন মৎস চাষীরা।
উপজেলার ৬নং কেরোয়া ইউনিয়নের ইসমাইল হোসেন জানান,গত কয়েকমাস পূর্বে নতুন পুকুর কেটে তাতে কয়েক হাজার টাকার বিভিন্ন প্রজাতের মাছ পেলেছেন,মাছ গুলো বড় হতেও শুরু করেছে কিন্ত গত কয়েকদিনের টানা বৃষ্টিতে পুকুর এবং বিলের পানি সমপরিমান হয়ে গিয়ে পুকুরের সব মাছ বেরিয়ে যাচ্ছে।
৭নং বামনী ইউনিয়নের তারেক জানান, অতি বৃষ্টিতে বিলের পানি দ্রুত সরতে না পারায় ইরি ধানের বীজ তলা বা সদ্য মাথাগজানো ধান গাছ গুলো পানিতে ডুবে গিয়েছে।
সরেজমিন পরিদর্শন করে দেখাযায় বিভিন্ন স্থানে ধানের জমিতে জলাবদ্ধতা ভয়াল রুপ নিতে চলছে। এইভাবে কিছুদিন গেলেই ধান গাছের গোছায় পঁছন ধরতে শুরু করবে এবং কৃষকের স্বপ্ন ধূলিষ্যাৎ হয়ে যাবে।
উপজেলার ৩নং চরমোহনা ইউনিয়নের আংশিক, ৪নং সোনাপুর,৫নং চরপাতা,৬নং কেরোয়া এবং ৭নং বামনী ইউনিয়নে প্রতিবছরই বর্ষা মৌসুমে জলাবদ্ধতা চরম রুপ ধারণ করে বলে জানায় এলাকার জনগণ।
আর এই জলাবদ্ধতার অন্যতম কারণ হচ্ছে গ্রাম গুলোর ভিতর দিয়ে অবস্থিত সরকারি খাল গুলোর বিভিন্ন স্থানে আড়াআড়ি বাঁধ দিয়ে রাস্তা তৈরি, প্রভাবশালীরা খালের ভিতর প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে মাছ চাষের জন্য বেড়া বা বাঁধ দিয়ে মাছ চাষ করার কারণে দ্রুততম সময়ের মধ্যে পানি চলাচলে বিগ্ন ঘটা আবার অনেক জায়গায় খাল সংস্কার না করার কারণে তলায় পলি জমে পানি প্রবাহের রাস্তা বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। জলাবদ্ধতার এহেন হীন অবস্থা থেকে উত্তোরনের জন্য প্রশাসনিক হস্তক্ষেপ কামনা করছেন গ্রামবাসী।