লক্ষ্মীপুরের কমলনগরে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল- জেএসডির উদ্যোগে পানিবন্দি মানুষের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করা হয়েছে।
বুধবার দুপুরে উপজেলার চরকাদিরা,তোরাবগঞ্জ ও চর লরেন্স ইউনিয়নের বন্যাদুর্গত এলাকায় এ ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করা হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেএসডি উপজেলা সভাপতি অধ্যক্ষ আবদুল মোতালেব, সহ সভাপতি আলমগীর হোসেন বাহার , সাধারণ সম্পাদক হারুনুর রশিদ ডিলার, সাংগঠনিক সম্পাদক মমিন উল্লাহ, জাতীয় যুবপরিষদের যুগ্ম আহবায়ক মোঃ রিয়াজ, ফলকন ইউনিয়ন জেএসডি নেতা আনোয়ার কবিরাজ প্রমুখ।
এ সময় ওই ইউনিয়নের ৫শ'পরিবারের মাঝে চাল, ডাল,আলু ও পেয়াজ বিতরণ করা হয়।
জানা যায়,গত ১৮ দিনের টানা বৃষ্টি ও মেঘনা নদীর অস্বাভাবিক জোয়ারে লক্ষ্মীপুরের রামগতি-কমলনগর উপকূলের ৪০ গ্রাম ডুবে প্রায় তিন লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়ে।
বাড়ির উঠান মাড়িয়ে বসতঘরে পানি ঢুকে পড়েছে। এমন পরিস্থিতিতে উপকূলবাসীর দুঃখ কষ্টের অন্ত নেই। এদিকে, চরাঞ্চলসহ সকল এলাকা প্লাবিত হয়েছে। নদীতে স্বাভাবিকের চেয়ে প্রায় ৬ফুটের বেশি পানি বেড়েছে।
রামগতি উপজেলা চর আলেকজান্ডার, চর গাজী, পোড়াগাছা, চর রমিজ, বড় খেরী, চর আবদুল্লাহ ও চর বাদাম ইউনিয়নসহ উপজেলার প্রায় সব গ্রাম পানির নিচে তলিয়ে গেছে। কমলনগর উপজেলার চর ফলকন, চর জাঙ্গালীয়া, চর কালকিনি, চর মার্টিন, চর লরেন্স, সাহেবের হাট, তোরাবগঞ্জ, চর কাদিরা ও পাটারিরহাট ইউনিয়ন এখন পানির নিচে।
জোয়ারের তোড়ে উপকূলীয় ইউনিয়নের কয়েকটি কাঁচা রাস্তা ভেঙ্গে গেছে। অতিরিক্ত পানিতে তলিয়ে গেছে মাছের ঘের, শাকসবজি, আমন ধানের বীজতলা, পানের বরজ। ক্ষতগ্রস্ত হয়েছে কাঁচা ঘর-বাড়ির। বসতঘরে পানি উঠায় বেশির ভাগ পরিবারের রান্না করার চুলা পানিতে ডুবে যায়। এতে রান্না করা অসম্ভব হয়ে পড়ে।
অব্যাহতভাবে পানি বাড়তে থাকায় বৃদ্ধ ও শিশুদের নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন স্বজনরা। এমন জনদূর্ভোগে বিপাকে পড়েছেন দুই উপজেলার প্রায় তিন লাখ মানুষ। চরাঞ্চলের বীজ তলার ধানের চারা নষ্ট হয়ে আমন ধানের আবাদ অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।