মঙ্গলবার ১৭ জুন ২০২৫ ৩ আষাঢ় ১৪৩২
মঙ্গলবার ১৭ জুন ২০২৫
ছোট ফেনী নদীর দুই পাড়ে ভাঙনে আতঙ্কে গ্রামবাসি
সোনাগাজী (ফেনী) প্রতিনিধি
প্রকাশ: বুধবার, ৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ৪:৪৭ PM
বন্যার পানির প্রভাবে মুছাপুর ক্লোজার নদী গর্ভে বিলীন হওয়ার পর থেকে ছোট ফেনী নদীর দুপাশে অস্বাভাবিক জোয়ারে ভাঙন দেখা দেয়।

চরদরবেশ, চর পারবতি, চর হাজারী ও মুছাপুর ইউনিয়নের নদীর পাড়ের অংশে ভাঙন আতঙ্কে দিন কাটছে নদী পাড়ের বসবাসরত ২০ হাজারের অধিক পরিবার। 

একাধিক পরিবার ইতিমধ্যে নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। এখনও প্রতিদিন নতুন করে ভাঙছে। ঘরবাড়ির চাল-বেড়া খুলে রেখে ক্ষয়ক্ষতি কমাতে চেষ্টা করছে নদী পাড়ের মানুষ।

মুছাপুর ক্লোজার, ছোট ফেনী নদী সেতু, কাজির হাট সংলগ্ন বাঁশ বাজার এলাকায় সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, অস্বাভাবিক জোয়ারে লোনাপানি প্রবল স্রোতে লোকালয়ে ঢুকতে। এতে করে নদীর ২ পাশে ভাঙতে দেখা যায়। স্থানীয়রা বলছেন, অস্বাভাবিক জোয়ার ভাটার কারণে ভাঙছে পাড় সহ পাড়ে থাকা পরিবার গুলোর ঘরবাড়ি। এতে করে পরিবার গুলো চরম আতঙ্কে দিন পার করছেন। 

স্থানীয়রা জানান, মুছাপুর ক্লোজার যদি পুনঃনির্মাণ না করা হয় পাশে যে বাঁধটি রয়েছে এটিও অতিদ্রুত ভেঙে যাবে। বাঁধের পাশে মাছের যে প্রকল্প গুলো রয়েছে এগুলো নদী ভাঙনের ফলে নদীতে বিলিন হয়ে যাওয়ার শঙ্কা করছেন। এ ছাড়া লোনাপানি যদি কৃষি জমিতে ঢুকতে পারে তাহলে কৃষির উপর ব্যাপক প্রভাব পড়বে। 

কৃষকদের কাছ থেকে জানা যায় এলাকার কৃষকরা জমি গুলো ৩ ফসলি। এখানে আউশ, আমন পরবর্তী তরমুজ সহ নানা রবিশস্য চাষাবাদ করে জীবন জীবিকা নির্বাহ করে। এ লোনা পানির কারণে জমিগুলো চাষাবাদ করা সম্ভব হবে না।

আদর্শগ্রাম এলাকার স্থানীয় খুরশিদ আলম নামের এক কৃষক বলেন, দ্রুত এটির ব্যবস্থা না নিলে আমরা আমাদের জমিগুলো চাষাবাদ করতে পারবো না। আমাদের এলাকাটি নদীর গর্ভে বিলীন হয়ে যাবে। এর পর আমরা সহায়সম্বল হারিয়ে আমরা কোথায় গিয়ে দাঁড়াবো?

চরদরবেশ ইউনিয়নের বাঁশ বাজার এলাকার শাহাবুদ্দিন নামের এক ক্ষতিগ্রস্ত ব্যাক্তি জানান, নদী যেভাবে ভাংতেছে এখন আমরা আমাদের বৌ বাচ্চা নিয়ে কোথায় যাবো। যদি সরকার কোন উদ্যোগ নিয়ে কোন ব্যবস্থা করে দেন তাহলে আমরা কোন রকম পরিবার পরিজন নিয়ে থাকার একটা ব্যবস্থা হতে পারে।

নদীর পাড়ে বসবাসকারী আলেয়া নামের এক ব্যক্তি বলেন, যেভাবে হোক নদী ভাঙন রোধ করে আমাদের জান বাঁচান। আমরা এ মহুর্তে কোন জায়গায় গিয়ে থাকবো সে জায়গাটুকু নাই।

চরদরবেশ ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ জানান, আমি বিষয়টি অবগত হয়ে সরজমিনে গিয়েছি এবং উপজেলা নির্বাহী অফিসার মহোদয়কে বিষয়টি অবগত করেছি। যেসমস্ত স্থানে ভাঙন দেখা দিয়েছে সেগুলোতে যদি দ্রুত ব্লক বা অন্য কিছু দিয়ে  হলেও ভাঙন রোধ করা জুরুরি। বিষয়টি যেন কর্তৃপক্ষ দ্রুত ব্যবস্থা নেয় এজন্য উনাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার কামরুল হাসান বলেন,  আমি নিজে সরজমিনে গিয়ে পরিদর্শন করেছি। এবং জেলা প্রশাসক মহোদয় সহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে বিষয়টি অবগত করেছি। আশাকরি এটি উনারা গুরুত্বের সহিত দেখছেন।

« পূর্ববর্তী সংবাদপরবর্তী সংবাদ »







  সর্বশেষ সংবাদ  
  সর্বাধিক পঠিত  
এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ
সম্পাদক ও প্রকাশক:
মো. আশরাফ আলী
কর্তৃক এইচবি টাওয়ার (লেভেল ৫), রোড-২৩, গুলশান-১, ঢাকা-১২১২।
মোবাইল : ০১৪০৪-৪০৮০৫২, ০১৪০৪-৪০৮০৫৫, ই-মেইল : thebdbulletin@gmail.com.
কপিরাইট © বাংলাদেশ বুলেটিন সর্বসত্ত্ব সংরক্ষিত