মঙ্গলবার ১ জুলাই ২০২৫ ১৭ আষাঢ় ১৪৩২
মঙ্গলবার ১ জুলাই ২০২৫
প্রেমিকা হারানোর অভিমানে চলন্ত বাসের নিচে ঝাঁপ
বগুড়া প্রতিনিধি
প্রকাশ: সোমবার, ৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ৬:৪১ PM
আদমদীঘিতে প্রেমের টানে বাড়ি থেকে পালিয়ে আসা প্রেমিকাকে জোর করে তার অভিভাবকরা নিয়ে যাওয়ায় সময় অভিমানে চলন্ত বাসের নিচে ঝাঁপ দিয়েছেন নাহিদ হোসেন (২০) নামের এক প্রেমিক যুবক।

আজ সোমবার সকাল সাড়ে ৭টায় বগুড়া-নওগাঁ মহাসড়কের আদমদীঘির ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের পাশে এ ঘটনা ঘটে। নিহত নাহিদ হোসেন বগুড়া জেলার দুপচাঁচিয়া উপজেলার কুড়াহাল গ্রামের হাবিল মণ্ডলের ছেলে।

নাহিদ হোসেনের সঙ্গে মোবাইলে মুন্সীগঞ্জের এক তরুণীর প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। প্রেমের টানে ওই প্রেমিকা রোববার (৮ সেপ্টেম্বর) নাহিদের বাড়ি চলে আসে। পরে প্রেমিকাকে নিয়ে নওগাঁর দুবলাহাটি গ্রামে নানার বাড়িতে গিয়ে আত্মগোপন করেন।

প্রেমিকার স্বজনরা বিভিন্ন কৌশল অবলম্বনে তার অবস্থান টের পেয়ে ওই রাতেই মাইক্রোবাস নিয়ে নাহিদের বাড়িতে আসেন। সেখানে না পেয়ে তারা নওগাঁর দুবলাহাটি গ্রামের নাহিদের নানার বাড়িতে যান। স্বজনরা দুজনের সম্পর্ক মেনে নেওয়ার আশ্বাস দেন। 

এরপর সোমবার ভোরে মাইক্রোবাসে নাহিদকে নিয়ে মুন্সীগঞ্জের দিকে রওনা দেন। পথিমধ্যে সকাল সাড়ে ৭টার দিকে বগুড়ার আদমদীঘি ফায়ার স্টেশনের কাছে তারা কৌশলে নাহিদকে নামিয়ে দিয়ে মাইক্রোবাস নিয়ে চলে যান। প্রেমিকাকে হারিয়ে অভিমানে চলন্ত বাসের নিচে ঝাঁপ দেন প্রেমিক। এতে ঘটনাস্থলেই নাহিদের মৃত্যু হয়।

আদমদীঘি থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) এসএম মঈন উদ্দীন জানান, লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় আইনি প্রক্রিয়া চলছে।

নিহতের মা নাছিমা বেগম জানান, ওই মেয়ের স্বজনরা প্রেমের সম্পর্ক মেনে নেওয়ার আশ্বাস দেন। কিন্তু তারা সে প্রতিশ্রুতি না রেখে ফিরে যাওয়ার পথে কৌশলে নাহিদকে গাড়ি থেকে নামিয়ে দিয়ে চলে যায়। এতে অভিমানে তার ছেলে নাহিদ বাসের নিচে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। তবে মুন্সীগঞ্জে কোথায় মেয়ের বাড়ি সেই নাম-ঠিকানা পাওয়া যায়নি।
« পূর্ববর্তী সংবাদপরবর্তী সংবাদ »







  সর্বশেষ সংবাদ  
  সর্বাধিক পঠিত  
এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ
সম্পাদক ও প্রকাশক:
মো. আশরাফ আলী
কর্তৃক এইচবি টাওয়ার (লেভেল ৫), রোড-২৩, গুলশান-১, ঢাকা-১২১২।
মোবাইল : ০১৪০৪-৪০৮০৫২, ০১৪০৪-৪০৮০৫৫, ই-মেইল : thebdbulletin@gmail.com.
কপিরাইট © বাংলাদেশ বুলেটিন সর্বসত্ত্ব সংরক্ষিত