মানিকগঞ্জের সিঙ্গাইরে বিরোধপূর্ণ জমিতে জোরপূর্বক ঘর নির্মানের অভিযোগ উঠেছে উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়কের বিরুদ্ধে।
উপজেলার বায়রা ইউনিয়নের গাড়াদিয়া গ্রামে ১৫ /২০ জন লোক নিয়ে ওই জমিতে চৌচালা টিনের ঘর নির্মাণ করা হয়। আদালতে মামলা চলমান থাকা অবস্থায় জোরপূর্বক জায়গাটি দখল করায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ভুক্তভোগী পরিবার।
ভুক্তভোগী পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বায়রা ইউনিয়নের গারাদিয়া গ্রামের আরএস ১৩০৩, ১৩০২(বিএস ৩৭৭২,৩৭৭৫) দাগের ৬ শতাংশ জমি নিয়ে ওই এলাকার কুলসুম বেগমের সাথে প্রতিবেশি মহর ও ছকেলের সাথে বিরোধ চলছিল।
এনিয়ে আদালতে মামলাও চলছে। এদিকে সরকার পতনের পর মহর, ছকেল ও মোহাম্মদসহ ১০/২০ জন ভারাটে লোকজন নিয়ে গত ৭ আগস্ট জমিতে জোরপূর্বক ঘর নির্মান করেন।
ভুক্তভোগী কুলসুম বেগম বলেন, জমি ক্রয় সূত্রে আমি মালিক। জমির যাবতীয় কাগজপত্র আমার পক্ষে। এ বিষয়ে আদালতে একটি মামলা চলছে।
সরকার পরিবর্তন হওয়ার পর আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর নীরবতার কারণে জোর করে আমার জমিতে ঘর নির্মাণ করে। আমি বাঁধা দিলে আমাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও প্রাণনাশের হুমকি প্রদান করেন। এবিষয়ে মানিকগঞ্জ সেনা ক্যাম্পে অভিযোগ জানালে তারা বলেন, ব্যক্তিগত জমি সংক্রান্ত অভিযোগ নেওয়া হয় না।
কুলসুম বেগম আরোও বলেন, উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মোঃ মহর উপস্থিত থেকে জোরপূর্বক জমিতে ঘর তুলে। এবিষয়ে বিএনপি রাজনৈতিক নেতাদের হস্তক্ষেপ কামনা করছি। কিভাবে বিএনপির পদধারী নেতা জমি দখলের কাজে জড়িত থাকে।
স্থানীয় খোরশেদ আলম ও বহর আলী মুন্সি বলেন, জমিটি ক্রয় সূত্রে মালিক কুলসুম বেগম। জমিটি একাধিকবার সার্ভেয়ার দিয়ে পরিমাপ করা হয়েছে। একাধিকবার বিচারেও কোন সমাধান হয়নি। আদালতে মামলা চলছে। সরকার পরিবর্তন হওয়ার পর জোরপূর্বক জায়গাটি দখল নেয়।
এবিষয়ে কথা বলতে ছকেল ও মহরের বাড়িতে গেলে তাদের পাওয়া যায়নি। তাদের মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করলেও ফোন রিসিভ করেন নি।
সিঙ্গাইর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার(ওসি) দায়িত্বে থাকা ইন্সপেক্টর (তদন্ত) মোশাররফ হোসেন বলেন, এবিষয়ে কেউ কোন অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।