নিম্নচাপের প্রভাবে সাগর উত্তাল হয়ে উঠেছে। সাগরে ঝড়ো হাওয়ার কবলে কক্সবাজার উপকূলে ৬টি ফিশিং ট্রলার ডুবে গেছে। এঘটনায় এখন পর্যন্ত ৩ জেলের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এছাড়াও সাগর থেকে ফিরে আসেনি কক্সবাজারের ৬৪ মাঝি-মাল্লাসহ ৩টি ট্রলার।
কক্সবাজার আবহাওয়া অফিস থেকে জানানো হয়, চট্টগ্রাম মংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরকে দেয়া তিন নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত বলবৎ রয়েছে। এছাড়া অব্যাহত রয়েছে বর্ষণও। সাগর উপকূলের লাবণী চ্যানেলে এফবি রশিদা নামের একটি এবং সাগরের ইনানী পয়েন্টে ৫টি ফিশিং ট্রলারডুবির ঘটনা ঘটেছে।
এসব ট্রলারে থাকা মাঝি-মাল্লারা কুলে উঠতে পারলেও ৫ জেলে নিখোঁজ রয়েছে। এছাড়া মোহাস্মদ জামাল (৩৭) ও নুরুল আমিন নামে দুই জেলে সাগরে ডুবে মারা গেছেন। তাদের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। নিহত জামালের বাড়ি চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলার চরম্বা এবং নুরুল আমিনের বাড়ি বাশখালী এলাকায়।
সকালে কক্সবাজার শহরের নাজিরার টেক পয়েন্ট থেকে স্থানীয়রা একজনের লাশ উদ্ধার করেছে। তবে তার পরিচয় এখনো পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছেন কক্সবাজারের এক নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আক্তার কামাল।
লাবণী চ্যানেল ও ইনানী পয়েন্টে ঝড়ো বাতাসের কবলে পড়ে ৬টি ট্রলার ডুবে যায়। পরে এসব ট্রলার ভেসে গিয়ে সমুদ্র সৈকতের কলাতলীসহ বিভিন্ন পয়েন্টে ভেসে উঠে।
কক্সবাজার জেলার ফিশিং ট্রলার মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন জানান, সাগর উত্থাল ও বৈরী আবহাওয়ার কারণে শুক্রবার রাত পর্যন্ত ৬৫টি ট্রলারের সাথে যোগাযোগ করা যাচ্ছিল না। শনিবার সকালে সবগুলো ট্রলার ফিরে আসার খবর পাওয়া গেলেও কক্সবাজার সদর এলাকার তিনটি মাছ ধরার ট্রলার ৬৪ মাঝিমাল্লা নিয়ে নিখোঁজ রয়েছে। তাদের উদ্ধারের জন্য তৎপরতা চালানো হচ্ছে বলেও জানান তিনি।