ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় তিতাস নদী থেকে উত্তোলনকৃত বালু বিক্রির টাকা আত্মসাতের অভিযোগে যুবদল নেতার সংবাদ সম্মেলন।
গতকাল মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে ৯ টায় উপজেলার মোগড়া ইউনিয়নের দূর্জয়নগর গ্রামের নিজ বাড়িতে সংবাদ সম্মেলন করেন উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক ও মোগড়া ইউনিয়ন পরিষদের তিনবারের নির্বাচিত ইউপি সদস্য আবু বক্কর সিদ্দিক ও তার পরিবারের সদস্যরা।
লিখিত বক্তব্যে আবু বক্কর সিদ্দিক অভিযোগ করে বলেন, গত ৫ বছর আগে তিতাস নদী থেকে বালু উত্তোলন করে জোর পূর্বক আমাদের যৌথ পরিবারের ৩০ বিঘা কৃষি জমিতে মজুদ করেন আখাউড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক পৌর মেয়রের ভাই ফুরকান খলিফা।
তৎকালীন সময়ে আমি বাঁধা দিলে সে কোন কর্ণপাত করে নাই। ওই সময় আমি প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরে অবগত করেও কোন সুরাহা পাইনি।কারণ তৎকালীন প্রশাসন ছিলো তার পরিবারের নিয়ন্ত্রণে। পরে ফুরকান খলিফা আমাকে প্রস্তাব দেয় আমার কৃষি জমিতে যে বালু মজুদ করেছে তা বিক্রি করে ১৩ ভাগ করবে। এই তের ভাগের তিন ভাগ আমাকে দিবে।
আমি যদি ওই প্রস্তাবে রাজি না হই তাহলে আমি বিএনপি করি সে কারনে আমার নামে মামলা দিয়ে হয়রানি করবে। আমি নির্বাচিত মেম্বার আমার নামে মামলা হলে এলাকা ও জনগণের কাছ থেকে দূরে থাকতে হবে। এই চিন্তা করে আমি ফুরকান খলিফার প্রস্তাবে রাজি হই।
আমার কৃষি জমিতে মজুদকৃত বালু প্রায় ৪ কোটি টাকা বিক্রি করা হয়।এতে করে আমার হিস্যাতে ৯২ লাখ ৩০ হাজার ৭৬৯ টাকা পাওনা হই। কিন্তু ফুরকান খলিফা আমার পাওনা টাকা দেমদিচ্ছি করে কয়েক বছর পার হয়ে গেলেও আমি আমার ন্যায হিস্যা বুঝে পাইনি।
অন্য দিকে আমাদের ৩০ বিঘা কৃষি জমিতে বালু রাখার কারনে এখন অকৃষি জমিতে পরিনত হয়েছে। এতে করে আমাদের পরিবারের অপূরনীয় ক্ষতি হয়েগেছে। আমি আমার পাওনা টাকার জন্য আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছি।