গাজীপুরের টঙ্গীতে একমাত্র কিশোর ছেলে আব্দুর রহমান মুসাকে (১১) গলা টিপে হত্যার অভিযোগ উঠেছে তার বাবা মহিউদ্দিন (৩৫) এর বিরুদ্ধে।
গত ২১ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় রাজধানীর তুরাগ থানার দিয়া বাড়ি এলাকায় এঘটনা ঘটে। এঘটনায় ঘাতক পিতা মহিউদ্দিনকে গ্রেফতার করেছে টঙ্গী পূর্ব থানা পুলিশ।
বৃহস্পতিবার দুপুরে সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য নিশ্চিত করেন গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের অপরাধ দক্ষিণ বিভাগের উপ পুলিশ কমিশনার আলমগীর হোসেন।
গ্রেফতারকৃত মহিউদ্দিন মাদারীপুর জেলার শিবচর থানার দত্তপাড়া আরজু ডুয়াটি গ্রামের মিরাজ মাতবরের ছেলে। সে প্রবাস থেকে ফিরে প্রথম স্ত্রীর সাথে গোপালপুর এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকতো।
পুলিশ জানায়, পারিবারিক কলহের জের ধরে মার্কেটিং করে দেওয়ার কথা বলে গত ২১ সেপ্টেম্বর বাসা থেকে ফুসলিয়ে নিয়ে গিয়ে দিয়াবাড়ি এলাকায় কাশবনে গলাটিপে নিজের কিশোর ছেলেকে হত্যা করে ঘাতক মহিউদ্দিন। এরপর সে তার গ্রামের বাড়িতে পালিয়ে যায়।
নিহতের মা শরিফুন নেছা একজন পোষাক শ্রমিক। তিনি বাসায় ফিরে স্বামী সন্তানকে না পেয়ে তার স্বামীর সাথে যোগাযোগ করলে তিনি সন্তানকে খূঁজে পাওয়া যাচ্ছেনা বলে নিশ্চত করেন।
একপর্যায়ে নিহতের মা থানায় সাধারণ ডায়েরি করলে তদন্তে নামে পুলিশ। পরে ফরিদপুরের ভাঙ্গা থানা পুলিশের সহযোগিতায় ঘাতক পিতা মহিউদ্দিনকে আটক করে নিবিড় জিজ্ঞাসাবাদে করলে সে কিশোর মুসাকে হত্যা করে লাশ কাশবনে ফেলে দিয়েছে মর্মে স্বীকার করে।
এরপর তার দেখানো স্থানে তল্লাশী চালিয়ে কিশোর মুসার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ এঘটনায় টঙ্গী পূর্ব থানায় মামলা দায়ের করেছেন নিহতের মা শরিফুন নেছা। আসামিকে আদালতে প্রেরণ করে অধিকতর জিজ্ঞাসাবাদের আবেদন করা হয়েছে বলেও জানান ওই কর্মকর্তা।
নিহত মুসার মা শরিফুন নেছার দাবী, পরকীয়া আসক্ত হয়ে গোপনে দ্বিতীয় বিয়ে করেছেন তার স্বামী মহিউদ্দিন। তার দ্বিতীয় স্ত্রী সুমনাকে খুশি করতে শাশুড়ী শাহানা ও দেবর সজিবের প্ররোচনায় পরিকল্পিত ভাবে এই হত্যাকান্ড ঘটান তিনি।
এসময় উপস্থিত ছিলেন গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের (অপরাধ) দক্ষিণ অতিরিক্ত উপ পুলিশ কমিশনার হাফিজুল ইসলাম টঙ্গী পূর্ব থানার অফিসার ইনচার্জ এস এম মামুনুর রশিদ, পরিদর্শক ( তদন্ত) রফিকুল ইসলাম ইসলাম ও বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলকট্রনিক্স মিডিয়ার সংবাদকর্মীবৃন্দ।