নোয়াখালী সদর উপজেলায় গণপিটুনিতে আব্দুস সহিদ (৪৩) নামে এক যুবলীগ নেতার মৃত্যু হয়েছে। এ সময় গণপিটুনির শিকার আরও তিনজন গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
এদিকে, গণপিটুনির একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। নিহত আবদুস সহিদ পূর্ব চরমটুয়া ইউনিয়ন যুবলীগের সহ-সভাপতি ও মমিন উল্যাহ মুন্সির ছেলে। অপর আহতরা হলেন- মো. জামাল হোসেন (৪২) মো. জাবেদ (২৮) ও মো. রিয়াদ হোসেন (৩৬)।
গণপিটুনির ১ মিনিট ৮ সেকেন্ডের একটি ভিডিও ভাইরাল হয়। এতে দেখা যায় আব্দুস সহিদের হাত পেছন থেকে বাঁধা। ঘরের ফ্লোরে রেখে তাকে পিটুনি দিচ্ছে কিছু যুবকসহ কয়েকজন। এ সময় তারা তাকে লাঠি দিয়ে মারতে থাকে এবং কেউ কেউ মাথায়, মুখে ও বুকে লাথিও দেয়।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, দুপুর আড়াইটার দিকে উপজেলার পূর্ব চরমটুয়া ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডে ছাত্রজনতার নামে কিছু লোক ইসমাইল মুহুরী বাড়ি ঘেরাও করে। এ সময় তারা ১টি পাইপগানসহ আব্দুস সহিদ, মো. জামাল হোসেন, মো. জাবেদ ও মো. রিয়াদ হোসেন নামে ৪ যুবককে আটক করে। পরে তাদেরকে গণপিটুনি দেয়। খবর পেয়ে যৌথ বাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে সন্ধ্যায় তাদেরকে উদ্ধার করে। পরে ১টি পাইপগানসহ আহত ৪ যুবককে আটক করে সুধারাম মডেল থানায় হস্তান্তর করে।
পুলিশ আহতদের ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করলে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সন্ধ্যা ৭টার দিকে আব্দুস সহিদের মৃত্যু হয়।