সম্প্রতি সুপার হোস্টেলে ঘটে যাওয়া বিষয় নিয়ে হোস্টেল কর্তৃপক্ষের সাথে সরাসরি কথা বলেছে বাংলাদেশ বুলেটিন। গত ৬ অক্টোবর হোস্টেল কর্তুুুুুৃপক্ষের সাথে কথা বললে তিনি জানান, তিতাসের লোকজন কোনো আইনি নোটিশ ছাড়া হোস্টেলে প্রবেশ করে রাইজার খুলে নিয়ে যায়।
পরে মুঠোফোনে তাদের সাথে যোগাযোগ করলে তিতাস কতৃপক্ষ তাদের কাছে ৩ লাখ টাকা দাবি করে। টাকা দাবি করায় হোস্টেল কতৃপক্ষ তাদের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করেন।
মামলা তুলে নেওয়ার জন্য তিতাস কতৃপক্ষ তাদের ১০ লাখ টাকা ঘুষ প্রস্তাব করে। ঘুষ নিতে রাজি না হলে তিতাসের লোকজন হোস্টেলে এসে হুমকি দিয়ে যায়। হোস্টেল কতৃপক্ষ আরো জানান, অপরাধিরা জামিন নিয়ে ঘুরাফেরা করছেন।
সুপার হোস্টেল কর্তৃপক্ষ বর্তমান সরকারের কাছে তাদের দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির দাবি জানান। সেই সাথে সুপার হোস্টেলসহ বাংলাদেশের সব হোস্টেলে সুনির্দিষ্ট আইনানুযায়ী গ্যাস, পানি, বিদ্যুত ব্যবস্থার দাবি জানান। সরকারি নীতিমালা অনুযায়ী মিটার ব্যবস্থার দাবি করেন হোস্টেল কতৃপক্ষ। জানা যায়, সুপার হোস্টেল কোম্পানির মাধ্যমে ব্যবসা পরিচালনা করে আসছেন।
বাংলাদেশ বুলেটিনকে আরো বিস্তারিত জানান, বর্তমানে ঢাকাতে তাদের ১০ টি ব্রাঞ্চে কার্যক্রম অব্যহত রয়েছে। প্রতিটি ব্রাঞ্চ সরকারি নীতিমালা অনুযায়ী ট্যাক্স পরিশোধ করে ব্যবসা পরিচালনা করছেন। শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্যকর পরিবেশসহ মানসম্মত খাবার ও সর্বোচ্চ নিরাপত্তার ব্যবস্থা করেছে সুপার হোস্টেল।
বুলেটিন টিম কয়েকজন শিক্ষার্থীর সাথে কথা বললে তারা জানায়, সুপার হোস্টেল থেকে তারা সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা পাচ্ছে। মাহমুদ হাসান নামে এক শিক্ষার্থী জানায়, ৩ বছর ধরে তিনি এ হোস্টেলে সর্বোচ্চ সেবা পাচ্ছেন। তিতাসের ব্যপারে জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন, তিতাসের লোকজন ডাকাতের মতো হোস্টেলে প্রবেশ করে রাইজার খুলে নিয়ে যায় এবং ৩ লাখ টাকা দাবি করেন। তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করার পর নানান হুমকিসহ হেনস্তার শিকার হচ্ছেন তারা। সবশেষে তিনি অর্ন্তবর্তীকালীন সরকারের কাছে ঘুষ ও র্দুনীতির অপরাধে তাদের শাস্তির দাবি জানান।