রবিবার ২৯ জুন ২০২৫ ১৫ আষাঢ় ১৪৩২
রবিবার ২৯ জুন ২০২৫
৬ গ্রামের জলাবদ্ধতা নিরসনের দাবিতে কৃষকদের মানববন্ধন
পিরোজপুর প্রতিনিধি
প্রকাশ: সোমবার, ১৪ অক্টোবর, ২০২৪, ৭:৪৯ PM
বলেশ্বর নদী তীরবর্তী উপকূলীয় মঠবাড়িযার সাপলেজা ইউনিয়নের ছয়টি গ্রামে স্থায়ী জলাবদ্ধতা নিরসন ও শুকণো মৌসুমে জোয়ার-ভাটার পানি প্রবাহে টেকসই স্লুইজগেট নির্মাণের দাবীতে মানববন্ধন করেছেন ভূক্তভোগী সহস্রা‌ধিক কৃষক।

সোমবার দুপুরে উপজেলার সাপলেজা ইউনিয়নের তাফালবাড়িয়া গ্রামের হলতা নদীর ও তারাখালের সংযোগ বাঁধের (পাউবোর) ওপর এ মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

বেলা সাড়ে ১১টা থেকে ঘন্টা ব্যাপী এ মানবন্ধন কর্মসূচিতে ৬ গ্রামের ভূক্তভোগী সহস্রা‌ধিক কৃষক অংশ গ্রহন করেন। পরে অবসরপ্রাপ্ত মাদ্রাসা শিক্ষক মো. ফারুক আলম এর সভাপতিত্বে প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তব্য দেন অবসরপ্রাপ্ত বিজিবি সদস্য ও কৃষক রেজাউল আলম, অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক আব্দুল মালেক, কৃষক সেলিম সিকদার, মাওলানা মো. হাবিবুর রহমান প্রমূখ।

বক্তারা বলেন, স্বাধীনতা পরবর্তী পিরোজপুর পানি উন্নয়ন বোর্ড ওই ইউনিয়নে হলতা নদীর পাড়ে ১৩৯/ডি পোল্ডারে ১৬ কিলোমিটার বেরী বাঁধ নির্মাণ করে। ওই বাধটি অপরকিল্পিত অপরিকল্পিত হওয়ায় এটি কৃষকদের মরণ ফাঁদে পরিনত হয়েছে।যাতে ওই ইউনিয়নের তাফালবাড়িয়া, নলীতুলা, নলীজয়নগর, গোলবুনিয়া, ঝাটিবুনিয়া ও চড়কগাছিয়া এ ছয় গ্রামে বর্ষা মৌসুমে জলাবদ্ধতা ও শুষ্ক মৌসুমে পানি সঙ্কট দেখা দেয়।

অতিসম্প্রতি ভারী বর্ষণে এলাকায় ৫/৬ ফুট পানি বৃদ্ধি পায়। ওই পানি দ্রুত অপসারণ না হওয়ায় ২০/২৫দিন ধরে স্থায়ী জলাবদ্ধতায় সৃষ্টি হয়। যাতে বর্ষা মৌসুমে জলাব্ধতা ও শুকনো মৌসুমে পানির অভাবে ব্যাপক ফসলহানি ঘটে। এছাড়া নব্যতা হরানো তারা খালে স্থানীয় দু’ প্রভাবশালী পরিবারের মাছ চাষ করায় খালটির পানি গ্রামবাসি ব্যবহার করতে পারছেন না।

সম্প্রতি এলাকাবাসী হলতা নদী ও তারা খালে টেকসই বাধ চেয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে আবেদন করেন।

স্থানীয় তাফালবাড়িয়া গ্রামের ষাটোর্ধ কৃষক সেলিম সিকদার জানান, অপরিকল্পিত বাধের কারণে সম্প্রতি বর্ষণের পানি ২০/২৫ আটকে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হলে তার ৪ একর জমির রোপা আমনের সবই পানিতে পচে নষ্ট হয়ে গেছে।

মহাজনের কাছ থেকে ওই জমি একসনা বন্ধক নিয়ে আমন আবাদ ও চারা খরচসহ তার লক্ষাধিক টাকা কর্জ করে খরচ করেছেন। দ্রুত খালে স্লুইজগেট নির্মাণ না হলে তি‌নি আত্মহত্যার হুমকি দেন।

কৃষক আঃ রহমান বলেন, ১৯৮৫ সালে কৃষকরা ওই বাঁধ অপসারণে দাবি শুরু করে। পরে পাউবো সেখানে পরিকল্পিত স্লুইজগেট নির্মাণের আশ্বাস দিলেও আজও তা কার্যকর হয়নি।

কৃষক আমন বলেন, হলতা নদী ও তারা খালে স্লুইজগেট না থাকায় প্রতি শুকনো মৌসুমে পানির অভাবে মুগ, মশুর কলইসহ রবি ফসল আবাদ করা যাচ্ছে না।

এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. মনিরুজ্জামান বলেন, তারা খালে বাঁধ দেওয়ার কারনে খালের পানির স্বাভাবিক গতিধারা নষ্ট হচ্ছে। এতে কৃষি রবি ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে। এ খালটি পরিদর্শন করে সেখানে স্লুইজগেট নির্মাণ করা যায় কিনা সে বিষয়ে একটি প্রস্তাবনা উর্ধতন কর্তৃপক্ষ বরাবরে পাঠানো হবে।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার আবদুল কাইয়ূম স্লুইজগেট চেয়ে এলাকাবাসীর আবেদন পাওয়ার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন পিরোজপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে প্রেরণ করা হয়েছে। 
« পূর্ববর্তী সংবাদপরবর্তী সংবাদ »







  সর্বশেষ সংবাদ  
  সর্বাধিক পঠিত  
এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ
সম্পাদক ও প্রকাশক:
মো. আশরাফ আলী
কর্তৃক এইচবি টাওয়ার (লেভেল ৫), রোড-২৩, গুলশান-১, ঢাকা-১২১২।
মোবাইল : ০১৪০৪-৪০৮০৫২, ০১৪০৪-৪০৮০৫৫, ই-মেইল : thebdbulletin@gmail.com.
কপিরাইট © বাংলাদেশ বুলেটিন সর্বসত্ত্ব সংরক্ষিত