বৃষ্টিতে শাকসবজির গাছ নষ্টের দোহাই দিয়ে বগুড়ার নন্দীগ্রামে হাট-বাজারগুলোতে বেশিরভাগ শাকসবজি বিক্রি হচ্ছে চড়া দরে। এছাড়া অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দরও একই অবস্থা।নেই কোনো বাজার নিয়ন্ত্রণ।
যে কারণে বাজারে বেগুন, করলা, কপি, টমেটোসহ সবধরনের সবজি প্রতি কেজি দর ব্যাপক ঊর্ধ্বগতিতে। এতে দিশেহারা হয়েছে মানুষ।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, সরবরাহ কম তাই সবধরনের শাকসবজির দাম বেড়েছে। বৃষ্টির কারণে শাকসবজির চারা নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। এজন্য হাট-বাজারে শাকসবজির সরবরাহ অনেক কমে গেছে। কয়েক দিনের ব্যবধানে প্রতি কেজিতে ২০ থেকে ৪০ টাকা পর্যন্ত দর বেড়েছে বেশিরভাগ শাকসবজির।
গত মঙ্গলবার নন্দীগ্রাম বাজারে গিয়ে বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, প্রতি কেজি বেগুন মানভেদে ১০০ থেকে ১২০ টাকা, করলা ১০০ টাকা, ফুল কপি ১০০ টাকা, কাঁচা মরিচ ৩০০ টাকা, গাজর ২০০ টাকা, ঝিঙা ৮০ টাকা, পটোল ৬০ টাকা, ঢেঁড়স ৮০ টাকা, কচুরমুখী ৬০ টাকা, পেঁয়াজ ১২০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ৬০ টাকা ও চাল কুমড়া প্রতিটি ৬০ থেকে ৭০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। খুচরা শাকসবজি ব্যবসায়ী রেজাউল বলেন, শাকসবজি কিনতে হচ্ছে বেশি টাকায় তাই বিক্রিও করতে হচ্ছে বেশি টাকাতে।
খুব তারাতাড়ি শাকসবজির দাম কমার সম্ভাবনা কম। বৃষ্টিতে শাকসবজির খুব ক্ষতি হয়েছে। বাজার করতে আসা রাজু বলেন, শাকসবজিসহ সবধরনের নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম বেশি। এগুলো দেখার কেউ নাই। এখানে সেখানে শুনি সব জিনিসের দাম কমে যাবে।এখন তো দেখছি সব জিনিসের দাম আরো বেশি হচ্ছে।