কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার পালংখালী ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ডের পশ্চিম পালংখালী এলাকায়
মুজিব জন্মশতবর্ষ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া উপহারের বেশির ভাগ ঘরেই তালা ঝুলছে। অভিযোগ রয়েছে, জমি ও বাড়িঘর থাকা সত্ত্বেও বরাদ্দ নেওয়ায় এসব ঘরে কেউ থাকছে না। এ ছাড়া অনেক ঘর ভাড়া দিয়েই প্রতি মাসে দুই হাজার টাকা নেন বাড়ি বরাদ্দ নেওয়া মালিকগণ, প্রতি নিয়তে বিভিন্ন অনৈতিক কর্মকান্ড মারা মারি ঝগড়াঝাটির কারণে অতিষ্ট আশ্রয়ণে থাকা জনগণ।
আজ সোমবার ( ২১ ই অক্টোবর ) বিকেলে ভূমিহীন ও গৃহহীনদের জন্য মুজিব শতবর্ষের উপহার হিসেবে দেওয়া দৃষ্টিনন্দন ঘরের বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ পেয়ে পশ্চিম পালংখালী এলাকায় জাতীয় দৈনিক বাংলাদেশ বুলেটিন পত্রিকার প্রতিনিধি গেলে দেখা যায় নানান তথ্য যা রুপকথার গল্প কেও হার মানায়।
জানা যায় ভূমিহীন ও গৃহহীনদের জন্য মুজিব শতবর্ষের উপহার হিসেবে দেওয়া দৃষ্টিনন্দন ঘর। অনেকে ঘর বরাদ্দ পেয়েও সেখানে থাকছেন না। তাঁদের অন্যত্র বাড়ি থাকায় উপহারের ঘরে এখন তালা ঝুলছে অনেকেই আবার ভাড়া ও দিয়েছে দাপট ও টাকার উজনে বাড়ি পেল বড় লোকজন, অসহায় গরিবেরা ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউপি সদস্যর দরজায় দরজায় গুরেও মিলেনি একটি বাড়ি।
স্থানীয় জনগণ জানান, আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে রাজনৈতিক বিবেচনায় ঘরগুলো বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। ফলে বেশির ভাগ সুবিধাভোগী বরাদ্দ পাওয়া ঘর অন্য কাজে ব্যবহার করছেন।স্বৈরাচার সরকারের আমলে রাজনৈতিক নেতাদের আত্মীয় স্বজনরা বাড়ির মালিক বনে গেলেও সহজে কেউ মুখ খুলে প্রতিবাদ করতে পারে নাই, ৫ আগস্টের পর আওয়ামী লীগের নেতা কর্মীরা পালিয়ে বেড়াচ্ছে সাথে মুজিব বর্ষের উপহার পাওয়া ঘরে থাকা আওয়ামী লীগের আত্মীয় স্বজনরা পালিয়েছে।ঘরে যাঁরা উঠেছেন, তাঁদের অভিযোগ, যাঁরা বরাদ্দ পেয়েও থাকেন না, তাঁরা ঘরের বারান্দায় খড়কুটো ও লাকড়ি গাদা করে রেখেছেন। সন্ধ্যার পর ফাঁকা ঘরগুলো অপরাধীদের আখড়ায় পরিণত হয়।
আশ্রয়ণের অনেক বাসিন্দা জানিয়েছেন,সব বাড়িতে লোক থাকলে নিরাপদেই থাকা যেত। অধিকাংশ ঘরে কেউ থাকে না। রাতে ঘর থেকে বের হতে ভয়ে গা ভারী হয়ে যায়। সবাই যে যার মতো ঘরে সিন্দুকের মতো তালা ঝুলিয়ে গেছে।
এবিষয়ে ইউপি সদস্য নুরুল হক জানান এই লিষ্টটা করা হয়েছিল অনেক আগেই এই বিষয়ে চেয়ারম্যান উপজেলায় জানিয়েছেন আমি একটা উদ্যাগ
নিয়েছিলাম যারা বরাদ্দ নেওয়ায় বাড়ি তে থাকে না তাদের বাড়িতে তালা দেওয়ার জন্য তবে উপজেলা থেকে কোনো নির্দেশনা না আশায় আমি তালা মারতে পারিনি। সেখানে প্রতিনিয়তে ঝগড়াঝাটি সৃষ্টি হয়, যাচাই-বাছাই করে বাড়ি গুলো বরাদ্দ দিলে আমি খুশী হব।
তবে ইউপি চেয়ারম্যান গফুর উদ্দিন চৌধুরীর সাথে গণমাধ্যম কর্মীরা একাধিক বার যোগাযোগ করলে তিনি তার বাসায় ডেকে নিয়ে গিয়ে বক্তব্য দিতে অনিহা প্রকাশ করেন
এবিষয়ে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা এটিএম কাওছার আহমেদ জানান, ইউপি চেয়ারম্যান আমাকে এই বিষয়ে অবগত করেনি। বরাদ্দ পাওয়ার পরও যাঁরা এসব ঘরে থাকছেন না, তাঁদের বরাদ্দ বাতিল করে নতুনদের বরাদ্দ দেওয়া হবে।
এবিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তানভীর হোসেন সজীব জানান উপহারকৃত বাড়ির মালিক একজন ঐবাড়িতে থাকে অন্যজন এমন খবর শুনেছি তালিকা দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।