নেত্রকোনার পূর্বধলায় বিএনপি নেতা এরশাদ আলী খন্দকারকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগে সাবেক সংসদ সদস্য ও উপজেলা আ.লীগের সভাপতি ওয়ারেসাত হোসেন বেলাল বীর প্রতীক (৭০), সাবেক উপজেলা চেয়্যারম্যান জাহিদুল ইসলাম সুজন (৪৮) সহ ২১ জনের নামে মামলা হয়েছে। নিহতের স্ত্রী সুফিয়া খাতুন বাদী হয়ে শনিবার রাতে থানায় হত্যা মামলাটি দায়ের করেন।
মামলার অন্যান্য আসামীরা হলেন-এমপির দুই এপিএস ফেরদৌস আহমেদ (৪০) ও কামরুজ্জামান উজ্জ্বল (৪০), যুবলীগের সাবেক আহ্বায়ক মাসুদ আলম তালুকদার টিপু (৫৫), ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল কুদ্দুছ বেপারী (৫৫), ইউপি চেয়ারম্যান কমল সরকার (৫০), আ.লীগ নেতা শফিকুল ইসলাম শফিক (৪৫), হাসান (৫০), নূরুল আমিন (৫০), মো. খোকন মিয়া (৪৫), শাহজাহান কবীর (৪৪), ইসলাম উদ্দিন (৫৭), সাহজাত হোসেন সাজ্জাত (৫৯), জাহাঙ্গীর (৩৫), বেলায়েত হোসেন খান (৭০), মো. আল উছমান বেপারী (৬৯), মো. রফি বেপারী (৪০), রমজান (৪০), সজুত খান (৫০), লাল মিয়া (৫২)।
এছাড়াও অজ্ঞাত আরও ১০/১২ জনকে আসামি করা হয়েছে। এ মামলায় এজাহারভূক্ত আসামী বেলায়েত হোসেন খানকে পুলিশ শনিবার রাতে গ্রেফতার করে রবিবার দুপুরে আদালতে প্রেরণ করে। গ্রেফতারকৃত বেলায়েত উপজেলার ইয়ারন গ্রামের মৃত আব্দুল জব্বার খানের ছেলে।
মামলার বিবরণে জানা গেছে, গত ২০১৮ সালের ২২ ডিসেম্বর পূর্বধলা উপজেলার নারান্দিয়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি এরশাদ আলী খন্দকারকে নরনায়নপুর গ্রামের নিজ বাড়ির সামনে পিটিয়ে হত্যা করে আ.লীগের নেতাকর্মীরা। এ ঘটনায় শনিবার (২৬ অক্টোবর) দিবাগত রাতে হত্যার শিকার এরশাদ আলীর স্ত্রী সুফিয়া খাতুন বাদী হয়ে এ মামলা দায়ের করেন।
পূর্বধলা থানার ওসি মোহাম্মদ রিয়াদ মাহমুদ মামলায় সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, এজাহারভূক্ত আসামী বেলায়েত হোসেন আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। অপর আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।