বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে আইনি কাঠামোয় আনতে জারি করা হচ্ছে অধ্যাদেশ। এটি জারি হলে আদালতে গিয়ে প্রশ্ন তুলে বর্তমান সরকারকে অবৈধ ঘোষণা বা বাতিল করা যাবে না।
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মাধ্যমে নতুন প্রধানমন্ত্রী দায়িত্ব নেওয়ার দিন পর্যন্ত হবে সরকারের মেয়াদ। সম্প্রতি ‘অন্তর্বর্তী সরকার অধ্যাদেশ, ২০২৪’-এর খসড়ায় চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে উপদেষ্টা পরিষদ। এতে বলা হয়, অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানে এবং সংবিধান বা অন্য কোনো আইন দিয়ে নির্ধারিত দায়িত্ব পালনের জন্য নির্বাচন কমিশনকে সাহায্য ও সহায়তা দেবে অন্তর্বর্তী সরকার।
বিলুপ্ত হওয়া তত্ত্বাবধায়ক সরকারের মতোই থাকছে প্রধান উপদেষ্টা ও উপদেষ্টাদের পদমর্যাদা। উপদেষ্টা পরিষদে নিয়োগ পাবেন না ২৫ বছরের কম বয়সীরা। সরকারি কর্মচারীদের সহায়তায় অন্তর্বর্তী সরকার কাজ করবে। অধ্যাদেশ কত দিনের মধ্যে জারি হতে পারে, তা নিশ্চিত করে জানা যায়নি।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের একজন অতিরিক্ত সচিব নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘উপদেষ্টা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে আইনি কাঠামোয় আনতে জারি করা হচ্ছে অধ্যাদেশ। এটি জারি হলে আদালতে গিয়ে প্রশ্ন তুলে বর্তমান সরকারকে অবৈধ ঘোষণা বা বাতিল করা যাবে না। ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মাধ্যমে নতুন প্রধানমন্ত্রী দায়িত্ব নেওয়ার দিন পর্যন্ত হবে সরকারের মেয়াদ। সম্প্রতি ‘অন্তর্বর্তী সরকার অধ্যাদেশ, ২০২৪’-এর খসড়ায় চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে উপদেষ্টা পরিষদ।
এতে বলা হয়, অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানে এবং সংবিধান বা অন্য কোনো আইন দিয়ে নির্ধারিত দায়িত্ব পালনের জন্য নির্বাচন কমিশনকে সাহায্য ও সহায়তা দেবে অন্তর্বর্তী সরকার। বিলুপ্ত হওয়া তত্ত্বাবধায়ক সরকারের মতোই থাকছে প্রধান উপদেষ্টা ও উপদেষ্টাদের পদমর্যাদা। উপদেষ্টা পরিষদে নিয়োগ পাবেন না ২৫ বছরের কম বয়সীরা। সরকারি কর্মচারীদের সহায়তায় অন্তর্বর্তী সরকার কাজ করবে। অধ্যাদেশ কত দিনের মধ্যে জারি হতে পারে, তা নিশ্চিত করে জানা যায়নি।
অন্তর্বর্তী সরকার এমন অধ্যাদেশ জারি করলে এটি নিয়ে আইনগত নানা প্রশ্ন উঠতে পারে বলে মনে করছেন আইন বিশেষজ্ঞরা। তারা বলছেন, হঠাৎ করে এমন অধ্যাদেশের প্রয়োজন হলো কেন?
অধ্যাদেশ নিয়ে প্রশ্ন
এ প্রসঙ্গে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি ব্যারিস্টার এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার কী করতে চায়, আমরা বুঝি না। যে পর্যন্ত সংবিধান বলবৎ থাকবে, ততক্ষণ এর বাইরে কারও কিছু করার এখতিয়ার নেই। তিনি বলেন, সুপ্রিম কোর্টের অনুমোদনের পরেই এ সরকার গঠন হয়েছে। তাই জনগণের মতামত ছাড়া এ সরকার কিছুই করতে পারবে না। করলে সেটি হবে অবৈধ।
অধ্যাদেশ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জেড আই খান পান্না বলেন, ‘এটা যেন নিজের চরিত্র নিয়ে নিজেই সার্টিফিকেট দেওয়ার মতো অবস্থা। আমি কতদিন ক্ষমতায় থাকব, সেটি নিয়ে অধ্যাদেশ জারি করা হলে প্রশ্ন তো উঠতেই পারে।’ এ সরকারের অবস্থা সামরিক জান্তার মতো হয়েছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।