অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ বললে দুঃখজনক হলেও সত্যি আমরা সেভাবে ডিজিটালাইজড হতে পারিনি। এখানে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি না এলে কোনো কিছুই সম্ভব নয়।সরকার পরিচালনায় অন্তর্বর্তী সরকারের কোনো এজেন্ডা নেই, আমাদের এজেন্ডা হলো দেশের স্বার্থ। আমরা চেষ্টা করছি এটা নিয়ে কাজ করতে।আমাদের সিদ্ধান্তগুলো এখন দ্রুত হয়। এ সিদ্ধান্ত দ্রুত হওয়া মানে স্লিপশট ডিসিশন নয়। ভাবনা-চিন্তা করে দ্রুত সিদ্ধান্ত নিচ্ছি আমরা। দ্রুত আমরা খাদ্যদ্রব্যের দাম, শুল্ক কমানোর চেষ্টা করি। এসবের সিদ্ধান্ত নিতে এর আগে সময় লাগত। আবার কিছু রাজনৈতিক ইম্পেরেটিভ থাকে, সেটার জন্য করা সম্ভব হয় না।
তিনি বলেন, একটা ফুটপ্রিন্ট আমরা রেখে যেতে চাই। যেটা স্বল্প সময়ে বা মধ্যবর্তী সময়ে রেখে যাব, ভবিষ্যতে যে সরকারই ক্ষমতায় আসুক, তারা যাতে তা বাস্তবায়ন করে। ফুটপ্রিন্ট যেটা রেখে যাব সেটায় যেন জনগণ সন্তুষ্ট হয়।
সোমবার (১১ নভেম্বর) রাজধানীর একটি হোটেলে দৈনিক বণিক বার্তা আয়োজিত তৃতীয় বাংলাদেশ অর্থনৈতিক সম্মেলন ‘বৈষম্য, আর্থিক অপরাধ ও বাংলাদেশের অর্থনীতির নিরাময়’ শীর্ষক সেমিনারে তিনি এ কথা বলেন।
বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর বলেছেন, বিগত সময়ে ব্যাংকখাত সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে দ্রুত সব সমাধান হবে না। কারণ এক ব্যাংকের ২৭ হাজার কোটি টাকার এসেট এক পরিবার ২৩ হাজার নিয়েছে সেখানে আমার হাতে ম্যাজিক নেই। তবে কোনো ব্যাংক বন্ধ হবে না এটা বলতে পারি। দুর্বল ব্যাংকে টাকা তুলতে পারছে না এ কারণে তাদের তারল্য সহায়তা দেওয়া হচ্ছে, সব সমাধানও হয়ে যাবে।তবে বাংলাদেশে কোনো দুর্ভিক্ষ হবে না। আমাদের গ্রোথ কমেনি। চার মাস পার করছি, মূল্যস্ফীতি কমাতে আমাকে আরও ৮ মাস সময় দিতে হবে।
তিনি বলেন, ব্যাংকের টাকা যারা দেশের বাইরে নিয়ে গেছেন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। লিগ্যাসি ম্যাটারে সব ব্যবস্থা নেয়া হবে।
সম্মেলনে আরো বক্তব্য রাখেন, ইনস্টিটিউট অব ইনক্লুসিভ ফাইন্যান্স অ্যান্ড ডেভলপমেন্টের (আইএনএম) নির্বাহী পরিচালক ড. মোস্তফা কে মুজেরি, ইউনিলিভার বাংলাদেশ লিমিটেডের চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ জাভেদ আখতার, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. সায়মা হক বিদিশা প্রমুখ।