নবগঠিত অন্তর্বর্তীকালীন রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের মনোনীত সদস্যদের নিয়োগ বাতিল এবং কাউখালী, বরকল, জুরাছড়ি ও রাজস্থলী উপজেলার প্রতিনিধি যুক্ত করার দাবি জানিয়েছেন, এই চার উপজেলার বাসিন্দারা।
জেলা পরিষদ পুনঃগঠন করে নতুনভাবে প্রজ্ঞাপন জারির জন্য অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে, রাঙামাটিতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন তাঁরা।
আজ মঙ্গলবার সকালে রাঙামাটি শহরে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানানো হয়। আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে সরকার পদক্ষেপ গ্রহণ না করলে নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করার হুঁশিয়ারী দেওয়া হয় সংবাদ সম্মেলনে।
সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করা হয়, গত ৭ নভেম্বর পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনে রাঙামাটির ১০টি উপজেলার মধ্যে শুধু ৬টি উপজেলা থেকে ১৫ জন প্রতিনিধিদের নিয়োগ দিয়ে কাউখালী, বরকল, জুরাছড়ি ও রাজস্থলী উপজেলার কোনো প্রতিনিধি না রেখে এলাকাবাসীর সাথে চরম বৈষম্য করা হয়েছে। জেলা পরিষদে যাদেরকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে তাদের অধিকাংশ সদস্য জনবিচ্ছিন্ন এবং আওয়ামী সরকারের সুবিধাভোগী বলে দাবি করা হয়।
এমনকি একই পরিবারের একাধিক সদস্য এবং সদস্য প্রণতি রঞ্জন খীসা হত্যা মামলার পলাতক আসামি রয়েছে পরিষদে অভিযোগ করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, রাজস্থলী উপজেলাবাসীর পক্ষে অ্যাডভোকেট দীননাথ তঞ্চঙ্গ্যা, সত্য বিকাশ তঞ্চঙ্গ্যা, উথান মারমা, কাউখালী উপজেলাবাসীর পক্ষে মো. জসিম উদ্দিন, ললিত চন্দ্র চাকমা, মো. তারা মিয়া, বরকল উপজেলাবাসীর পক্ষে এমদাদ হোসেন ও পুলিন বিহারী চাকমা ও তঞ্চঙ্গ্যা সম্প্রদায়ের প্রতিনিধি রনজিত তঞ্চঙ্গ্যা।
অন্যদিকে আনীত অভিযুক্ত সদস্যরা জানান, আমরা আওয়ামী সরকারের কোন সুবিধাভোগী নয় এবং আমরা আওয়ামী লীগেন রাজনীতি কখনো করিনি, আওয়ামী লীগের দলীয় কোন পদ-পদবী তো দূরের কথা। আমাদের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন।
হত্যা মামলার পলাতক আসামি প্রসঙ্গে প্রনতি রঞ্জন খীসা জানান, মামলা হয়েছে কিন্তু আমার বিরুদ্ধে অসত্য অভিযোগ করায় পরে বাদীর সঙ্গে তার আপস হয়েছিলো মামলার। মামলা তুলে নেওয়া হয়েছিলো।
উল্লেখ্য: জেলার ১০ টি উপজেলা থেকে জেলা পরিষদ সদস্য হিসেবে মনোনীত করতে হবে বাধ্যতামূলক এই মর্মে পার্বত্য জেলা পরিষদের বিভিন্ন আইন ও বিধিমালাতে কোথাও উল্লেখ করা নেই।