রাউজানে রক্তের হোলিখেলায় মেতেছে একদল চিহ্নিত সন্ত্রাসী৷ বারবার সংবাদ শিরোনাম হলেও এসব সংঘর্ষ বন্ধে কিংবা জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা না নেয়ায় প্রায় প্রতিদিনই রক্ত ঝরছে রাউজানে৷
গতকাল এক পক্ষের ওপর অপর পক্ষের আতর্কিত হামলার সময় এলাকাবাসী বাধা দিতে গেলে এক পর্যায়ে মুখোশধারীদের সন্ত্রাসীরা এলোপাতাড়ি ছুড়লে অন্তত ১০ জনের বেশি গুলিবিদ্ধ হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) রাত সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার নোয়াপাড়া ইউনিয়নের নিরামিশ পাড়া গ্রামে গোলাগুলির এ ঘটনা ঘটে। এই ঘটনার পর আবারও ব্যাপক উত্তেজনা বিরাজ করছে। গুলিবিদ্ধ সবাই চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বৃহস্পতিবার রাতে প্রায় ২০-৩০ জনের একদল মুখোশধারী মো. মহিউদ্দিন নামের একজনকে মারধর ও কুপিয়ে আহত করে। পরে এলাকার লোকজন এ ঘটনার প্রতিবাদ করতে গেলে মুখোশধারীরা তাদের লক্ষ্য করে গুলি করে এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যায়।
এ ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে মো. মাসুদ. মো. লাভলু, জসিম উদ্দিন, মো. জানে আলম, সাইফুদ্দিন, মো. মহিউদ্দিন, মো. মানিক, আলাউদ্দিন, মো. হুমায়ুন, ও নরুল আবসার।
স্থানীয় একাধিক সূত্র বাংলাদেশ বুলেটিনকে জানিয়েছে, বিএনপির দুই পক্ষের আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে নোয়াপাড়া এলাকায় প্রায়ই সময় হামলা গোলাগুলির ঘটনা ঘটছে। ৫ আগস্ট সরকারের পট পরিবর্তনের পর হতে রাউজান জুড়ে এমন কর্মকাণ্ড চলছে। এলাকার সাধারণ মানুষ চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। অনেকেই বাড়িঘর ছেড়ে শহরে চলে যাচ্ছে বলে জানা গেছে।
এ ব্যাপারে রাউজান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর মাহাবুবুর রহমান গণমাধ্যমকে জানান, রাতেই বিএনপির একপক্ষের ওপর কিছু লোকজন নোয়াপাড়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান খায়েজ আহমদের ছেলে মো. কামাল উদ্দিনের ওপর হামলা চালায়। এসময় এলাকাবাসী বাধা দিতে গেলে মুখোশধারীরা তাদের ওপর এলোপাতাড়ি গুলি ছোড়ে। এতে ১০-১২ জনের বেশি গুলিবিদ্ধ হন বলে তিনি নিশ্চিত করেন।