যাত্রাবাড়ীর সায়দাবাদের একটি বাসায় ইতালি প্রবাসী স্বামীর ওপর অভিমান করে সুমাইয়া আক্তার (২০) নামের এক তরুণী আত্মহত্যা করেছেন।
সুমাইয়া ঢাকা মহানগর মহিলা কলেজের একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিলেন। সুমাইয়া আক্তার টাঙ্গাইলের কালিহাতীর রানদেবপুরের তাইজউদ্দিনের মেয়ে। বর্তমানে মায়ের সঙ্গে সায়েদাবাদ এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকতেন।
গত রাত ৮টার দিকে অচেতন অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে গেলে জরুরি বিভাগের দায়িত্বরত চিকিৎসক পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে মৃত ঘোষণা করেন।
ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক মো. ফারুক চিকিৎসকের বরাত দিয়ে সুমাইয়ার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, মরদেহ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের মর্গে রাখা হয়েছে। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশকে জানানো হয়েছে।
নিহতের মা শাহীনুর বেগম বলেন, প্রায় এক বছর আগে ইতালি প্রবাসী শরীফ নামে এক ছেলের সঙ্গে মোবাইলে আমার মেয়ের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। পরে পারিবারিকভাবে গত বছর মোবাইল ফোনের মাধ্যমেই শরীফের সঙ্গে আমার মেয়ের বিয়ে হয়।
মোবাইলে বিয়ের পর থেকেই আমার মেয়েকে তার স্বামী তার বাড়ি ফরিদপুরের ভাঙ্গায় মায়ের কাছে চলে যেতে বলে। এতে আমার মেয়ে বলে ‘তুমি তো আমাকে এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে বিয়ে করোনি তাহলে তোমার বাড়ি কেন যাব।’ এই নিয়ে বেশ কয়েক দিন ধরেই ঝগড়া চলছিল।
এছাড়া শরীফের মা আমার মেয়ে সম্পর্কে বেশ কয়েক দিন ধরে অনেক বাজে মন্তব্য করছিল। এরপর ইতালি প্রবাসী স্বামীর সঙ্গে মোবাইলে ঝগড়া হলে অভিমানে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলে থাকে সুমাইয়া। পরে খবর পেয়ে আমি তাকে দ্রুত ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে গেলে চিকিৎসক জানান আমার মেয়ে আর বেঁচে নেই।