শেরপুরের খাজা বদরুদ্দোজা হায়দার ওরফে দোজা পীরের দরবারে (মুর্শিদপুর পীর) হামলা-ভাঙচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। ভোরে সদর উপজেলার লছমনপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
হামলাকারীদের প্রতিরোধ করতে গেলে সংঘর্ষে উভয়পক্ষের ১৩ জন আহত হয়েছেন। হামলার ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে পুলিশ ৭ জনকে আটক করেছে।
আহত ব্যক্তিদের মধ্যে আসিফ (২৫), শহিদুল ইসলাম (৩৫), আল মাসুদ (১৫), জিসান (২২), এনামুল হক (৩৫) ও হাফেজ (৩৯) নামের ছয় জনকে জেলা সদর হাসপাতালে এবং জয়নাল নামে গুরুতর আহত একজনকে (২৮) উন্নত চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
জানা গেছে, গত ৫ আগস্ট রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর থেকে স্থানীয় একটি মাদ্রাসার কয়েকজন শিক্ষক ও এলাকাবাসী সদর উপজেলার লছমনপুর এলাকায় অবস্থিত মুর্শিদপুর দরবার শরীফের কার্যক্রম বন্ধের হুমকি দিয়ে আসছিলেন। তাদের অভিযোগ, পীরের দরবারে ইসলামপরিপন্থি কার্যকলাপ পরিচালিত হয়।
ভোরে মাদ্রাসাশিক্ষক মো. তরিকুল ইসলামসহ ৪০০-৫০০ জন মানুষ মুর্শিদপুর পীরের দরবারে হামলা চালান। তারা দরবারের টিনের বেড়া ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাট চালান। এ সময় দরবারে থাকা খাদেম ও অন্য মুরিদরা তাদের বাধা দিলে উভয়পক্ষের সংঘর্ষে অন্তত ১৩ জন আহত হন।
শেরপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জুবায়দুল আলম বলেন, এ ঘটনায় মুর্শিদপুর দরবার শরীফের পক্ষ থেকে থানায় অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। এটি মামলা হিসেবে রেকর্ডের প্রক্রিয়া চলছে। পুলিশ পুরো ঘটনাটি গুরুত্বের সঙ্গে তদন্ত করে দেখছে।