নরসিংদীর শেখেরচরে ঘরে ঢুকে চাঞ্চল্যকর সুমনা আক্তার তিথি হত্যায় ৪ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) নরসিংদী। এসময় হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত হাতুড়ি, রশি ও লুণ্ঠন করা ১০ লাখ ১ হাজার টাকাসহ বিভিন্ন আলামত উদ্ধার করা হয়েছে।
আজ সোমবার দুপুরে নরসিংদী পিবিআই এর সম্মেলন কক্ষে সংবাদ সম্মেলন করে এই তথ্য জানায় পিবিআই নরসিংদীর পুলিশ সুপার এনায়েত হোসেন মান্নান।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন, ফরিদপুর জেলার পাঁচই এলাকার বাসিন্দা ও শেখেরচর এলাকার ভাড়াটিয়া মো. রমজান শেখ ওরফে লিমন (২২), তার ভাই হাসিবুর রহমান শান্ত (৩১), নেত্রকোনার এলাকার বাসিন্দা ও শেখেরচর এলাকার ভাড়াটিয়া মো. কাউছার মিয়া (২০) ও নাটোর জেলার চর গোয়াশ এলাকার বাসিন্দা ও শেখেরচর এলাকার ভাড়াটিয়া মো. ইমন আলী (২১)।
সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার মো. এনায়েত হোসেন মান্নান বলেন, সদর উপজেলার শেখেরচর এলাকার গৃহকর্তা মোফাজ্জল হোসেন এর ঘরে বিদেশ থেকে পাঠানো দশ লক্ষ টাকা রয়েছে। এমন তথ্যের ভিত্তিত্বে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে বিদেশ হতে পাঠানো টাকা লুট করতে গ্রেফতারকৃতরা মোফাজ্জালের বাড়িতে রাতে হানা দেয়। ওই সময় ডাকাতবেশি লুণ্ঠনকারীদের টাকা লুটে বাধা দেয় মোফাজ্জলের স্ত্রী আসমা বেগম। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে লুণ্ঠনকারীরা আসমা বেগম ও মেয়ে চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রী সুমনা আক্তার তিথিকে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে আহত করে।
রাত ১২টার দিকে বাড়ির মালিক মোফাজ্জাল হোসে বাড়িতে এসে তার মেয়ে ও স্ত্রী রক্তাক্ত অবস্থায় পরে থাকতে দেখে। পরে তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নেয়া হলে তিথীকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক। গুরুতর আহত আসমা বেগমকে ঢাকার একটি হাসপাতালে ভর্তি করেন।
এ ঘটনার তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় নরসিংদী, ফরিদপুর, নেত্রকোনা, কিশোরগঞ্জ, ঢাকা ও বরিশালে অভিযান চালিয়ে হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের গ্রেফতার করে। পরে তাদের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে লুট হওয়া ১০ লাখ ১ হাজার টাকাসহ হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত হাতুরিসহ বিভিন্ন আলামাত জব্দ করা হয়। গ্রেফতারকৃতদের আদালতে দেয়া জবানবন্দীতে ঘটনার সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে বলে জানান পুলিশ সুপার।