পাবনার ঈশ্বরদীতে গরু বহনকারী যানবাহন (করিমন) ও সিএনজির মুখোমুখি সংঘর্ষে মো. আকমল হোসেন (৩৫) নামে একজন নিহত হয়েছেন। এ দুর্ঘটনায় সিএনজির চালকসহ আরো তিনজন গুরুতর আহত হয়েছেন।
মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে ১২টার দিকে শহরের আলহাজ্ব মোড় সংলগ্ন ইক্ষু গবেষণা ইনস্টিটিউটের সামনে এ ঘটনা ঘটে। নিহত আকমল হোসেন দাশুড়িয়া ইউনিয়নের নওদাপাড়া গ্রামের মৃত সাবেদ আলী সরদারের ছেলে এবং দাশুড়িয়া বাজারের নীলিমা টেইলার্সের মালিক।
প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন, অরণকোলা গরুর হাটে গরু বহনকারী যানবাহন (করিমন) যাওয়ার পথে ঈশ্বরদীগামী একটি সিএনজির সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে সিএনজিটি দুমড়ে মুচড়ে গেলে সিএনজিতে বসে থাকা ৪ যাত্রী গুরুতর আহত হয়। তাদের উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস এন্ড সিভিল ডিফেন্স এর কর্মীরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক আকমলকে মৃত ঘোষণা করেন।
আহতরা হলেন- উপজেলার পাকশী ইউনিয়নের চররুপপুর গ্রামের মজিবুল হক ডাবলুর ছেলে রকিবুল হক পায়েল (৩২), পৌর এলাকার পাতিলাখালীর আব্দুল মজিদের স্ত্রী রেনু বেগম (৫০) এবং সাঁড়া ইউনিয়নের ইশলামারী গ্রামের আবুল কাশেমের ছেলে ইসরাফিল হোসেন (৪০)। তাদের অবস্থার অবনতি হলে আহত পায়েলকে পাবনা এবং অন্য দুজনকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
নিহত আকমলের বন্ধু মো. ইমরুল বলেন, দাশুড়িয়া বাজারে নীলিমা টেইলার্স নামে তার একটি টেইলার্সের দোকান রয়েছে। ঈশ্বরদীতে মেশিন মেরামত করতে যাওয়ার পথে সড়ক দুর্ঘটনায় সে নিহত হয়েছে । পরিবারের একমাত্র উপার্জনশীল ব্যক্তি ছিল আকমল। তার মৃত্যুতে পরিবারে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
ঈশ্বরদী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শহিদুল ইসলাম শহিদ বলেন, সড়ক দুর্ঘটনার খবর শুনেছি এবং নিহতের মরদেহটি উদ্ধার করা হয়েছে। এ বিষয়ে আইনি প্রক্রিয়া চলমান।