কোম্পানীগঞ্জে মাদ্রাসায় যাওয়ার পথে এক শিশু ছাত্রীকে (৭) ধর্ষণচেষ্টার মামলায় অভিযুক্ত শাহরুফ (১৭) নামের এক কিশোরকে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছে তার পরিবার।
আজ সোমবার দুপুরে নোয়াখালী জেলা সদরের সোনাপুর জিরো পয়েন্ট এলাকায় শাহরুফকে পুলিশের হাতে তুলে দেয় তার প্রবাসী বাবা নুরনবী। এর আগে গত শনিবার সকালে উপজেলার মুছাপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) ৬ নম্বর ওয়ার্ডের ফারুক মিয়ার নতুন বাড়ির পাশে এ ঘটনা ঘটে।
ভুক্তভোগী শিশু শিক্ষার্থীর মা বাদী হয়ে একই এলাকার প্রবাসী নুরনবীর ছেলে মো. শাহরুফকে আসামি করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দেন। ওই মামলার প্রেক্ষিতে পুলিশ অভিযুক্ত শাহরুফের পরিবারের সহযোগিতায় গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে আসে।
কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গাজী মুহাম্মদ ফৌজুল আজিম গ্রেপ্তারের বিষয় নিশ্চিত করে বলেন, মামলার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করা হয় এবং ভুক্তভোগীর মেডিকেল পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। মেডিকেল পরীক্ষার রিপোর্ট অনুযায়ী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
প্রসঙ্গত, গত শনিবার সকালে মুছাপুর ইসলামিয়া আরাবিয়া মাদ্রাসার তৃতীয় শ্রেণির এক ছাত্রী (৭) মাদ্রাসায় যাওয়ার পথে পথরোধ করে ধর্ষণচেষ্টা করে এক কিশোর। এ সময় ওই শিশুর ডাক চিৎকারে লোকজন এগিয়ে এলে অভিযুক্ত পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় স্থানীয়ভাবে মীমাংসার জন্য চেষ্টা করা হয়। ২০ হাজার টাকায় মিমাংসা ও কাগজে স্বাক্ষর দিতে ভুক্তভোগী পরিবারকে চাপ দেয় অভিযুক্তের পরিবার।